নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধের মহানায়ক হলেন আবু সাঈদ। নৈতিক ঋণ পরিশোধ করতে আমরা এখানে এসেছি। রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার জাফরপাড়া বাবনপুরে এই এলাকায় আল্লাহ এমন একটি গোলাপ ফুল আমাদেরকে দিয়েছিলেন যে গোটা জাতির ঘুম ভেঙে দিয়েছে। শুধু বাংলাদেশের নয়, সে এখন দুনিয়াবাসীর সম্পদ।। আবু সাঈদ নিজেই একটা ইতিহাস। তার ইতিহাসের সঙ্গে আর অন্য কারো ইতিহাস জুড়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে যারা শহীদ হয়েছেন, জীবন দিয়েছেন, তারা প্রত্যেকটা এক একটা ইতিহাস। যারা লড়াই করে গাজী হিসেবে বেঁচে আছে তারাও ইতিহাস।
বুধবার দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ও তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী দিনে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যাতে দুর্বৃত্তপনা, স্বৈরাচারী ও জুলুমবাজ কোনো সরকার না আসতে পারে সেজন্য এ প্রজন্মের যুবকদের এবং দেশবাসীকে সোচ্চার থাকতে হবে। যাতে এই বিপ্লবের ফল কেউ ‘হাইজ্যাক’ করতে না পারে। কোনো মতলববাজ, সে রাজনৈতিক বা অন্য কোনো অপশক্তি হোক আমরা কাউকে এলাউ করব না। আমরা প্রত্যেকেই পাহারাদার হিসেবে জাতির অধিকারকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করব।
এর আগে সকাল ১০টায় হেলিকপ্টারযোগে রংপুরের পীরগঞ্জের জাফরপাড়া বহুমুখী কামিল মাদরাসা মাঠে আসেন তিনি। পরে সেখানে একটি সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে আবু সাঈদের বাড়িতে যান তিনি। সেখানে আবু সাঈদের কবর জিয়ারত শেষে তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় পরিবারের হাতে নগদ এক লাখ টাকা এবং আজীবন তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, রংপুর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, মহানগর জামায়াতের আমির এটিএম আজম খান, সেক্রেটারি আবু ওবায়দুল্লাহ সালাফি, মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি গোলাম জাকারিয়া, সেক্রেটারি নুরুল হুদা সহ জামায়াত, ছাত্রশিবির, শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন।