পীরগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী চতরাহাট ৯৮০ শতক জমি থাকার স্বত্বেও ভুমিহীন

আমাদের প্রতিদিন
2024-10-04 00:44:21

 "হাটের অবশিষ্ট ফাকা জায়গা প্রায়ই দখল হয়ে যাচ্ছে " হাটের পরিবেশ বাচাতে উচ্ছেদ ব্যবস্থা জরুরি হয়ে পড়েছে "

পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধিঃ

রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী  চতরা হাটের নামে প্রায় ৯৮০ শতক  জমি থাকার স্বত্বেও ঐতিহ্যবাহী এ হাটটি এখন ভুমিহীনের কোঠায় পৌছে গেছে।  অবৈধ দখলদারীদের হাত থেকে বাঁচতে হলে উচ্ছেদ অভিযান জরুরী প্রয়োজন।

এখানে বেপরোয়া ভাবে হাটের জায়গায় দখল নেয়ার প্রতিযোগীতা শুরু হয়েছে। যে কারনে মালিকানা জমি লিজ নিয়ে অথবা সরকারি রাস্তার উপর নিয়মিতভাবে হাট বসানো হচ্ছে। রাস্তায় হাট বসানোর ফলে দুর্ঘটনা এবং গাড়ির যানজটে

জনজীবন দুর্ভোগ দেখা দিয়েছ। ভোগান্তিতে পড়ছে পথচারী ও সকল যানবাহ। স্থানীয় লোকজন এবং হাট কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছেন।

সুধীমহলের লোকজন বলছে, এ হাটটি ৯৮০ শতাংশ জমির উপর স্থাপিত অথচ সীমিত জমির উপর হাট বসানো হচ্ছে । অবশিষ্ট জমি গুলোতে কাচা পাকা ঘড় নির্মান করা হয়েছে। অধিকাংশ ঘড় নির্মান করেছে হাটের পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন প্রভাব খাটিয়ে। আবার বিগত সময়ের হাট ইজারাদারদের সহযোগিতায় নিয়েও যায়গায় দখল করে ঘর নির্মাণ করা হয়। ক্রয়, বিক্রয় করতে আসা সাধারন জনগণ  নানা সমস্যায় পরছেন । বিশেষ করে কাচামাল বিক্রেতাগন জানান উক্ত হাটে এত জায়গা জমি থাকার পরে-ও  আমাদের কাচামাল বিক্রয় করতে হচ্ছে চতরা ডিগ্রী কলেজ মাঠ ও ধাপেরহাট টু চতরা রাস্তার দু পাশ্বে। রাস্তায় হাট বসানোর কারনে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এছাড়াও প্রতিনিয়ত স্কুল,কলেজগামী ছাত্র, ছাত্রী ও পথচারীরা কম-বেশী  দূর্ঘটনার সম্মক্ষিন হচ্ছেন। হাটের ভিতর  সরকারী ঢালাই সেড দখল নিয়েও ঘর নির্মান করা হয়েছে।

হাট ইজারাদার হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, এলাকার কিছু লোকজন প্রভাব খাটিয়ে হাটের অলিগলিতে প্রায় ৩৫০ টি স্থানে দোকান ঘর তৈরি করে। এদের মধ্যে অনেকেই ঘরগুলো ভাড়া দিয়ে মাসে মাসে ভাড়ার উঠিয়ে থাকেন। এছাড়াও এ হাটের জমিতে সোনালী ব্যাংকসহ ৪০ টি স্থানে বাসা বাড়ি গড়েছেন এলাকার প্রভাবশালী লোকজন।

তারা আরও বলেন, এই ভাবে একের পর এক হাটের জায়গায় ঘড় নির্মাণ করা হলে  পরবর্তিতে হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাথা গোজার ঠাই পাবেনা।

হাট অফিস সূত্রে জানাযায় , বাংলা ১৪৩১ সালে ভ্যাটসহ প্রায় ৯৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা সরকারি ভাবে ডাক দেয়া হয়েছে। হাটের জায়গা উদ্ধার না করলে লোকসানের হিসাব গুনতে হবে হাট ইজারাদারদের। তবে এ হাটের জায়গাজমি উদ্ধার না করা হলে আগামীতে খাস কালেকশন করতে হবে প্রশাসন কে।

এলাকাবাসী ও হাট কর্তৃপক্ষ জরুরি ভিত্তিতে হাটের  জায়গা জমি উদ্ধারের জন্য  উদ্ধাতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।