পীরগাছায় সার পাচারকালে আটক পয়েন্ট বন্ধ করার হুমকি

আমাদের প্রতিদিন
2024-10-10 14:43:16

কাগজে আছে বাস্তবে নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রংপুরের পীরগাছায় অবৈধভাবে পলিথিন দিয়ে ঢেকে ভ্যানযোগে সার পাচার করার চেষ্টা করলে স্থানীয় কৃষকরা আটক করেন। আটকের খবর পেয়ে ডিলার প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত কৃষকদের উদ্দেশ্যে সার বিতরণের পয়েন্ট বন্ধ করার হুমকি দেন। পরে স্থানীয় উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা ঘটনাস্থল থেকে সার উদ্ধার করে তার জিম্বায় রাখেন।

জানা যায়, উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের তাম্বুলপুর বাজার  ও নেকমামুদ বাজার দুটি পয়েন্টে সার বিক্রি করে থাকে বিসিআইসি ডিলার মেসার্স আবুল হোসেন বাবুল । স্থানীয় উপজেলা কৃষি  বিভাগ নিয়মিত মনিটরিং করে থাকেন। এরই অংশ হিসাবে  গত মঙ্গলবার(২৭আগস্ট)  উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মুকিত বিন লিয়াকত তাম্বুলপুর বাজার পয়েন্ট পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন কালে কর্মকর্তা কাগজে গোডাউনে যে পরিমাণ সার থাকার কথা থাকলে বাস্তবে অন্যান্য সার ঠিক থাকলেও ৩৭ বস্তা এমওপি(পটাশ) নেই। মনিটরিং  কর্মকর্তা সার নিয়ে এসে গোডাউনে রাখার তাগাদা দিলে ডিলার পরেরদিন বুধবার( ২৮আগস্ট) বিভিন্ন স্থান থেকে সার এনে গোডাউনে রাখেন এবং ওই দিনেই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম তাম্বুলপুর বাজার পয়েন্ট পরিদর্শন করেন।

এরপর গত বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যা সাত ঘটিকায় তাম্বুলপুর বাজার পয়েন্ট হতে এমওপি ১২ বস্তা সার ভ্যানযোগে পলিথিন দিয়ে ঢেকে অবৈধভাবে পাচারের চেষ্টা করলে স্থানীয় কৃষকরা আটক করন। সার আটক করার খবর পেয়ে ডিলার প্রতিনিধি আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এখানকার পয়েন্ট বন্ধ করার হুমকি দেন। উপজলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম এর নির্দেশ পেয়ে তাম্বুলপুর ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ—সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে আটককৃত সার তার জিম্বায় রাখেন।  সার আটকের  বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি জানান রোববার সার পাচার ও আটক করার বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন বলে তিনি জানান।

স্থানীয় কৃষক আইয়ুব আলীসহ আরো অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা তাম্বুলপুরের ডিলার পয়েন্টে চাহিদা অনুযায়ী সার পাই না। ওই পয়েন্ট হতে ডিলারের লোক নিয়মিত একাধিক ভ্যানযোগে সার পাচার করে থাকেন।

সার মনিটরিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মুকিত বিন লিয়াকত এর সাথে কথা হলে গোডাউনে সার কম থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তবে দুটি পয়েন্টের মোট ইউরিয়া ৫শ ৪০ বস্তা ও এমওপি(পটাশ) ৯৫ বস্তা রয়েছে বলে তিনি জানান। পৃথক পৃথক ভাবে কোন গোডাউনে কোন সার কত বস্তা রয়েছে তা তিনি দিতে অস্বীকার করেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। এছাড়াও ডিলারকে ডেকে শতর্ক করা হয়।