প্রতিবাদে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও সংবাদ সম্মেলন
মিঠাপুকুর(রংপুর)প্রতিনিধি:
বন্যার্তদের সহযোগিতার জন্য উত্তোলনকৃত নগদ টাকা আত্মসাতের বাধা দেওয়ায় মিঠাপুকুরের ভাংনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ্ আল মামুনের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিবাদে রোববার বিকেলে মানব বন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান ও জামায়াতের নেতৃকর্মীরা। হামলার শিকার ওই চেয়ারম্যান জামায়াতে ইসলামী মিঠাপুকুর উপজেলা শাখার রুকন ও ইউনিয়ন শাখার সহসভাপতি। শনিবার সন্ধ্যায় এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছিল। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের ভাতিজা ফাহিম মুনতাসীর ওয়াহেদী বাদি হয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এলাকাবাসি ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভাংনী ইউনিয়নের স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আল মা আরজি যুব সংগঠন বন্যার্তদের জন্য প্রায় দুই লক্ষ টাকা উত্তোলন করেছে। তারা উত্তোলনকৃত টাকাগুলো বন্যার্তদের সহযোগিতায় না পাঠিয়ে টালবাহানা আত্মসাতের চেষ্টা করে। এ কারণে দ্বন্দ্ব—বিবাদ লাগে সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে। এই বিষয়টি জানাজানি হলে ইউপি চেয়ারম্যান উক্ত টাকা বন্যার্তদের সহযোগিতায় সরকারি ফান্ডে পাঠাতে বলেন। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে সংগঠনের সদস্য রিয়াল মিয়া, নাঈম মিয়া,মোরছালিন মিয়া,এনামুল হক হলুদ, তাজমুল হোসেন, রুকু মিয়া,কোরবান আলী, মানিক মিয়া, হাছিব মিয়া,সজিব মিয়া, লাকাদ মিয়াসহ অজ্ঞাত ২০/২৫ সদস্য চেয়ারম্যানের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এসময় তারা দরজা, টেলিভিশন, চেয়ার, টেবিল ভাংচুর করে আনুমানিক ৩৯০০০ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে ও ক্যাশ টেবিলের ড্রয়ার থেকে ৮৬,০০০ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যান।
এ ঘটনায় ভাংনী ইউনিয়নের মাঠের হাট এলাকায় মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। পরে সন্ধ্যায় মিঠাপুকুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ভাংনী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মোতাকাব্বের ছেলেটি নিজের শারীরিক প্রতিবন্ধীটাকে পুঁজি করে মাঝে মধ্যেই বিধবা ভাতাসহ সমাজকল্যাণ বিভাগের বিভিন্ন কাজ নিয়ে আমার কাছে তদবির করতে আসে। আমি কোন তদবিরকারীকে প্রশ্রয় না দেয়ায় আগে থেকেই ক্ষিপ্ত ছিলেন আমার উপর। সর্বশেষ শনিবার রেজিস্ট্রেশনবিহীন সংগঠনের নামে বন্যার্তদের সহযোগিতার অজুহাতে কালেকশনকৃত নগদ অর্থ নিয়ে দ্বন্দ্বের বিষয়ে জানতে পেরে জনপ্রতিনিধি হিসেবে সরকারি ফান্ডে জমা দিতে বলি। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে আমার অনুপস্থিতিতে বসতবাড়িতে হামলা চালিয়েছে। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
মিঠাপুকুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান শিমুল বলেন, এক বছর হয়নি আমাদের জামায়াত সমর্থিত পায়রাবন্দ ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।সে হত্যার রহস্য আজও উদঘাটন হয়নি। আবারো আমাদের উপজেলার আরেক ইউপি চেয়ারম্যানকে হত্যার উদ্দেশ্যে বসতবাড়িতে হামলা চালানো হলো। আমরা বড় কোন দূর্ঘটনার পূর্বে এই অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, ইউপি চেয়ারম্যানের ঘটনার বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।