চিলমারীতে দুই বছরেও শেষ হয়নি বীরনিবাসের কাজ

আমাদের প্রতিদিন
2024-11-07 08:46:03

চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ২বছরেও শেষ হয়নি বীরমুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন ৫টি বীরনিবাসের কাজ। বীরনিবাস ৫টির ৭০—৮০শতাংশ কাজ করে বাকি কাজ ফেলে রাখার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। জানাগেছে,অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের আর্থ—সামাজিক উন্নয়নে বীরনিবাস নিবাস নির্মাণের কাজ করছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২সালের ১৩আগস্ট তারিখে উপজেলায় দ্বিতীয় দফায় ৩৫টি বীরনিবাস নির্মাণের বরাদ্দ দেয় মন্ত্রণালয়। উপজেলা প্রশাসন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস বীরনিবাসগুলির নির্মাণের কাজ বাস্তবায়ন করছেন।এক তলাবিশিষ্ট ৭৩২বর্গফুট আয়তনের বীর নিবাসের এই বাড়িতে দুটি শয়নকক্ষ,একটি বসার কক্ষ (ড্রয়িংরুম),একটি খাওয়ার কক্ষ(ডাইনিং),একটি রান্নাঘর,একটি প্রশস্থ বারান্দা ও দুটি শৌচাগার রয়েছে। প্রতিটি বাড়ী ১৪লক্ষ ৮হাজার ২৬৬টাকা হিসাবে ৩৫টি বাড়ীর নির্মাণ ব্যায় ধরা হয়েছে মোট ৪কোটি ৯২লক্ষ ৮৯হাজার ৩১০ টাকা। 

উপজেলায় বরাদ্দকৃত দ্বিতীয় দফার ৩৫টি বীরনিবাসের মধ্যে ৩০টির কাজ শেষ হলেও বাকি ৫টির ঘরের কাজ ২বছরেও শেষ না হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঠিকাদার ৭০—৮০শতাংশ কাজ করেই ফেলে রেখেছেন সব। কাজ ৫টি করেন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান আজাদ জামান।

সরেজমিন দেখা গেছে,নির্মাণাধীন বীরনিবাস ৫টি দরজা—জানালা লাগানো হয়নি। দেয়া হয়নি ইলেকট্রিক সংযোগ,দেয়াল রং করাসহ ছোট—খাট কাজ বাকি রয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাসের ঘর পেয়ে যেন চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন,রাণীগঞ্জ এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক। বিছানায় শয্যাশয়ী এ মুক্তিযোদ্ধা জীবনের শেষ নিঃশ^াস এ ঘরে ফেলতে পারবেন কিনা শঙ্কায় রয়েছেন।বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেকের মতো বীর নির্বাসের ঘর নিয়ে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন বালাবাড়ী হাট কিসামত বানু এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী,রানীগঞ্জ বাজার এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজুল হক সর্দার,মদনমোহন এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম ও ভাটিয়া পাড়ার শহিদ বীরমুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী সাহের বানু বেগম।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী বলেন,ঘরের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেও কোন কাজ হয়নি।ইউএনও ও পিআইও সাহেব শুধুই আশ^াস দিয়েছেন।উপয়ান্তর না পেয়ে অসমাপ্ত ঘরের দরজা ও জানালায় টিনের বেড়া দিয়ে থাকতে হচ্ছে।ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ ওই ঠিকাদার কাজ শেষ না করেই ৩দফার বিলের টাকাও উত্তোলন করেছেন। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক। কাজটি যথাসময়ে শেষ না করে মুক্তিযোদ্ধাদেরও হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে।’

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী নুরুজ্জামান আজাদ জামানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে ওই ঠিকাদারকে শোকজ করা হয়েছে। ওই ঠিকাদার কাজ শেষ করার জন্য কয়েকদিন সময় চেয়েছেন।

চিলমারীতে হোটেল গ্র্যান্ড ব্রহ্মপুত্র থেকে টেলিভিশন চুরি

চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার একমাত্র ব্যক্তি মালিকাধীন অত্যাধুনিক আবাসিক হোটেল গ্র্যান্ড ব্রহ্মপুত্র থেকে ৫টি ৩২ইঞ্চি স্মার্ট টেলিভিশন চুরির ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকার মতিঝিলের জীবন বীমা কর্পোরেশন ভবনের ঠিকানা দিয়ে ইস্তিয়াক আহমেদ নামে পরিচয়ধারী এক ব্যক্তি ৫টি কক্ষ ভাড়া নিয়ে ৫টি কক্ষেরই চাবি গ্রহণ করেন এবং পরে অন্যান্য লোকজন আসবেন বলে জানান তিনি।হোটেলের কর্মচারী এরশাদ আলী বেলা ১১টায় ওই ব্যক্তিকে তার রুমে তুলে দেন। পরিচ্ছন্নতা কর্মী লাকী বেগমকে বাকী রুমগুলো পরিস্কারের কথা বলে থানাহাট বাজারে চলে যান। সিসি টিভির ফুটেজ দেশে ধারনা করা হয়, বেলা ১১টা থেকে ১২টা ৩৫মিনিটের মধ্যে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। রাত ৯টার দিকে হোটেলের দায়িত্বে থাকা এরশাদ আলী রাতের ডিউটি করার সময় দেখেন ভিআইপি ৫টি কক্ষের দরজা খোলা এবং ৫টি কক্ষেরই স্মার্ট টেলিভিশন নেই।

টোটেলটির ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম সাগর বলেন,আমি ছুটিতে ছিলাম,কেয়ার টেকারের অসচেতনতার ফলে এমন ঘটনা ঘটেছে। হোটেলের মালিক আলহাজ্ব মাহফুজার রহমান মঞ্জু জানান,এব্যাপারে চিলমারী মডেল থানায় অভিযোগ করা হলে, থানা পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ প্রানকৃষ্ণ দেবনাথ জানান,তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ২বছরেও শেষ হয়নি বীরমুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন ৫টি বীরনিবাসের কাজ। বীরনিবাস ৫টির ৭০—৮০শতাংশ কাজ করে বাকি কাজ ফেলে রাখার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। জানাগেছে,অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের আর্থ—সামাজিক উন্নয়নে বীরনিবাস নিবাস নির্মাণের কাজ করছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২সালের ১৩আগস্ট তারিখে উপজেলায় দ্বিতীয় দফায় ৩৫টি বীরনিবাস নির্মাণের বরাদ্দ দেয় মন্ত্রণালয়। উপজেলা প্রশাসন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস বীরনিবাসগুলির নির্মাণের কাজ বাস্তবায়ন করছেন।এক তলাবিশিষ্ট ৭৩২বর্গফুট আয়তনের বীর নিবাসের এই বাড়িতে দুটি শয়নকক্ষ,একটি বসার কক্ষ (ড্রয়িংরুম),একটি খাওয়ার কক্ষ(ডাইনিং),একটি রান্নাঘর,একটি প্রশস্থ বারান্দা ও দুটি শৌচাগার রয়েছে। প্রতিটি বাড়ী ১৪লক্ষ ৮হাজার ২৬৬টাকা হিসাবে ৩৫টি বাড়ীর নির্মাণ ব্যায় ধরা হয়েছে মোট ৪কোটি ৯২লক্ষ ৮৯হাজার ৩১০ টাকা। 

উপজেলায় বরাদ্দকৃত দ্বিতীয় দফার ৩৫টি বীরনিবাসের মধ্যে ৩০টির কাজ শেষ হলেও বাকি ৫টির ঘরের কাজ ২বছরেও শেষ না হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঠিকাদার ৭০—৮০শতাংশ কাজ করেই ফেলে রেখেছেন সব। কাজ ৫টি করেন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান আজাদ জামান।

সরেজমিন দেখা গেছে,নির্মাণাধীন বীরনিবাস ৫টি দরজা—জানালা লাগানো হয়নি। দেয়া হয়নি ইলেকট্রিক সংযোগ,দেয়াল রং করাসহ ছোট—খাট কাজ বাকি রয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাসের ঘর পেয়ে যেন চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন,রাণীগঞ্জ এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক। বিছানায় শয্যাশয়ী এ মুক্তিযোদ্ধা জীবনের শেষ নিঃশ^াস এ ঘরে ফেলতে পারবেন কিনা শঙ্কায় রয়েছেন।বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেকের মতো বীর নির্বাসের ঘর নিয়ে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন বালাবাড়ী হাট কিসামত বানু এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী,রানীগঞ্জ বাজার এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজুল হক সর্দার,মদনমোহন এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম ও ভাটিয়া পাড়ার শহিদ বীরমুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী সাহের বানু বেগম।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী বলেন,ঘরের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেও কোন কাজ হয়নি।ইউএনও ও পিআইও সাহেব শুধুই আশ^াস দিয়েছেন।উপয়ান্তর না পেয়ে অসমাপ্ত ঘরের দরজা ও জানালায় টিনের বেড়া দিয়ে থাকতে হচ্ছে।ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ ওই ঠিকাদার কাজ শেষ না করেই ৩দফার বিলের টাকাও উত্তোলন করেছেন। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক। কাজটি যথাসময়ে শেষ না করে মুক্তিযোদ্ধাদেরও হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে।’

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী নুরুজ্জামান আজাদ জামানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে ওই ঠিকাদারকে শোকজ করা হয়েছে। ওই ঠিকাদার কাজ শেষ করার জন্য কয়েকদিন সময় চেয়েছেন।