ফুলবাড়ীতে একটি গ্রামেই ১২টি গরু মারা গেছে কৃষকের  আতংকে রয়েছে ক্ষুদ্র প্রান্তিক গরুচাষীরা

আমাদের প্রতিদিন
2024-11-04 03:13:23

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে গবাদিপশুর ক্ষুরা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ১২টি গরু মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ক্রমান্বয়ে রোগটি ছড়িয়ে পড়ায় আতংকে রয়েছে উপজেলার ক্ষুদ্র প্রান্তিক গবাধিপশুর মালিকদের মাঝে। তবে প্রাণি সম্পদ কর্মকতার্রা জানিয়েছেন চিন্তার কারন নেই ভাইরাসজনিত ক্ষুরা রোগের সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হলে গরু মারা যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। 

প্রাপ্ত সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের বজরের খামার চন্দ্রখানা গ্রামে গরুর ক্ষুরা রোগ দেখা দিয়েছে। গরুর অসুস্থতায় লক্ষনে বুঝা যায় প্রথমে জ¦র এবং পরে কাপনের সৃষ্টি হয়। পরক্ষণে মুখে আসে লালা। এরোগের জন্য গরুর মালিকগণ গ্রাম্য পশু চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা চালালেও শেষ রক্ষাও পায়নি তারা। ফলে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পাশাপাশি অনেকেই দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। এরই মধ্যে ১৫ দিনে মারা গেছে ১৫টি গরু। গবাদিপশু মারা যাওয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যেমে প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানার পরেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এর সত্যতা পেয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে বজরের খামার চন্দ্রখানার নাজমা বেগমের ২টি গরু, জয়নালের ১টি গরু, মোবারকের ১টি, লিয়াকতের ১টি, টুংকুর ১টি, রতনের ২টি, আশরাফুলের ১টি, কুমারপাড়ার লিটনের ১টি, সামাদ ১টি,বাবলু ১টি গরু মারা গেছে। ছাড়াও  গ্রামে গ্রামে রোগটি ছড়িয়ে পড়ার আশংকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষকরা।

এদিকে পানিমাছকুটি গ্রামের ফরহাদ হোসেন টুকু জানান, অনেক চিকিৎসা দেওয়ার পরেও তার প্রায় দু’লাখ টাকার একটি গরু বাচানো সম্ভব হয়নি। সাথে থাকা বাকী গরু গুলো অবস্থাও ভাল নেই।

গরুর খামারী আটিয়াবাড়ীর  জাইদুল হক জানান, যে ভাবে গরুর রোগ দেখা দিচ্ছে, আমি গরু নিয়ে আতংকে রয়েছি।

ক্ষতিগ্রস্থ নাজমা বেগম জানান, প্রথমে গরুর জ¦র আসে। এর কাপানি শরু হয়। তার পর মুখে লালা দেখা দেয় । খাওয়া বন্ধ হয়। অনেক টাকা খরচ করেও গরুর রোগ ভাল করতে পারি নাই। স্থানীয় পশু চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করেছি। কিন্তু শেষ রক্ষা পাইনি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরিফুল রহমান কনক যুগান্তরকে জানান, আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেয়েছি বজরে খামার গ্রামে ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩/৪টি গরু মারা গেছে। মূলত ওই গ্রামের একজন কৃষক বাজার থেকে একটি গরু কিনে নিয়ে আসায় এই রোগটি দেখা দেয়। যার কারনে ভাইরাসজনিত ক্ষুরা রোগটি ছড়িয়ে যায়। আতংক হওয়ার কিছু নেই। রোগাক্রান্ত গরুকে অন্য গরু থেকে আলাদা রাখাতে হবে। রোগ দেখা দিলে অফিসের সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য গরুর মালিকদেরকে পরামার্শ দেন।