জোড়াতালির ঘরে বসবাস ৩ পরিবারের

আমাদের প্রতিদিন
2025-01-14 01:03:47

আজাদুল ইসলাম আজাদ, পীরগঞ্জ রংপুর:  

প্রতিটি মানুষের আলো বাতাসের প্রয়োজন আছে। প্রতিটি মানুষ সুন্দর ভাবে বাঁচতে চায় এবং ভালোমন্দ খেতে চায়। পেটে ভাত না থাকলেও কেউ জানতে চায় না কিন্তু যার খিদে সেই জানে। দিনের কর্ম শেষে সকলেই বাসস্থানের খোজ নেয় এমনকি সন্ধ্যা হলেই সকলে ঘরে ফিরতে চায়। আর দিন শেষে সকলেই ঘুমের ঘরে গিয়ে আরামদায়ক ঘুম দেয়। আর রাত্রিযাপনের ঘরটি যদি এলোমেলো হয় তখন সে কোথায় গিয়ে ঘুমাবে। তারপরও ভাঙা ঘরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুমাতে হয়। কারন ঘুম কিন্তু পোকামাকড় কে ভয় পায় না।

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা মহিলা কলেজ এর সামনে অসহায় ৩ টি পরিবারের লোকজন  ২ শত খাস জমি কিছু টাকা দিয়ে দখল বুঝে নিয়ে, গত ১০:বছর থেকে বসবাস করছেন। তারা মানুষের বাড়িতে কাজকর্ম করে নিজেদের পেটের খোঁড়াক জোগাড় করে। আর এই ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করছেন অনন্তপুর গ্রামের  আব্দুল সাত্তার মিয়াসহ দুই মেয়ের পরিবার।

 ২ মেয়ে কে বিবাহ দিলেও জামাইরাও একই বাড়িতে বসবাস করছেন। টিন ছাউনির ঝুপড়ি ঘর ফাটা ছেড়ার শেষ নেই। বৃষ্টি হলে আগে তাদের ঘরে পানি পড়বে এবং ঘরের ব্যাড়ায় এবং ছাউনি টিনে নানান রকমের ছিদ্র রয়েছে। তারপরও রাতে ঘুমানোর মতো একটা চৌকি বা (খাট) নেই। ছোট ছেলেমেয়ে কে নিয়ে মাটিতে বিছানা বিছিয়ে ঘুমিয়ে যায় তারা। সরকারি ঘরের দাবি জানিয়েছেন তারা।

স্থানীয়রা জানান, পরিবারের লোকজনগুলো বড় অসহায়, দিন আনা দিন খাওয়া। ঘর বানাবে কি ভাবে আসবাবপত্র কেনার মতো সম্বলও নেই যাদের। অসহায় মানুষগুলোর পাশে কেউ নেই। সরকারি আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ঘর বরাদ্দ পেলে অসহায় মানুষগুলোর আশ্রয়ের কষ্ট দূর হবে।

আব্দুল সাত্তার মিয়ার স্ত্রী জাহানারা বেগম (পাতানি) জানান, আমার স্বামী অসুস্থ অবস্থায় কর্মকরতে পারেননা। সংসারের সব দায়িত্ব আমার কর্মের ওপর নির্ভর করে। ঘরের টিন কেনার মতো সম্বল নেই আমার। তার পরেও  ঝুপড়ি ঘরটি মেরামতের চেষ্টা করি কিন্তু নুন আনতে পান্তা শেষ।

তিনি আরও বলেন, মেয়ে মনোয়ারা এবং সেলিনা কে বিবাহ দিয়েছি, জামাইদের অবস্থা আমার চেয়েও মন্দ তাই মেয়ে জামাই আমার বাড়িতে থাকে। এক মেয়ের ঘরের বেড়া জং খেয়ে ফেলেছে। রাতে পোকামাকড় ঘরে ঢোকে করা কিছু নেই।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, আব্দুল সাত্তার মিয়া অসুস্থ তার স্ত্রী অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালায়। এসব পরিবারদের জন্য সরকারি ঘরের বরাদ্দ দেয়া প্রয়োজন।