হরিণচড়ায় ছেলের কোঁদালের কোপে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন পিতা অনিল

আমাদের প্রতিদিন
2025-12-07 11:38:16

মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু,ডোমার নীলফামারী:

নীলফামারীর ডোমারে ছেলে অতুল চন্দ্র রায়ের কোঁদালের কোপে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন পিতা অনিল চন্দ্র রায়(৬০)। অনিল চন্দ্র রায় উপজেলার ১০ নং হরিনচড়া ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ী এলাকার কাল্ঠু রায়ের ছেলে।

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে হরিণচড়া  ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ী নামক এলাকায়। বর্তমানে অনিল চন্দ্র রায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে অনিল চন্দ্র রায়ের বৌমা নিপা রায় বলেন, সকাল থেকে বাড়ীতে কোন ঝগড়া হয়নি। আমি ছাগলের বাচ্চা দেখতে বাড়ীর বাইরে যাই। কিছুক্ষন পর বাড়ীতে প্রবেশ করে দেখি ঘড়ের মধ্যে রক্ত। ঘরে  ঢুকে দেখি আমার শ্বশুড়কে আমার স্বামী কোঁদাল দিয়ে মেরেছে। পরিবারের লোকজন অনিলকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেলে নিয়ে যায়।

এসময় স্থানীয় লোকজন ঘাতক ছেলে অতুলকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। ঘাতক ছেলে অতুল চন্দ্র রায় বলেন, বাবা আমাকে বাড়ীতে সব সময় অত্যাচার করতো। বাড়ী থেকেও বের হয়ে যেতে বলে, সকাল ১১ টার দিকে আমার সাথে আমার বাবার ঝগড়া লাগে। এ সময় আমার বাবা আমাকে মারতে আসলে আমার হাতে থাকা কোদাঁল দিয়ে আমার বাবাকে আমি আঘাত করি।

এবিষয়ে ১০নং হরিণচড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাসেল রানা বলেন, ঘটনা শুনে আমরা ছেলেটিকে আটক করে পুলিশের কাছে দেই। গুরুতর আহত পিতা অনিল চন্দ্রের চিকিৎসা চলছে। তার শরীর থেকে  প্রচুর রক্তক্ষরন হয়েছে। তবে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। তবে বর্তমানে তিনি আশঙ্কা জনক অবস্থায় রয়েছেন।

এবিষয়ে ডোমার থানা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা এ এসআই শামীম ছেলেটিকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন ঘটনাস্থল থেকে ছেলেটিকে আটক করা হয়েছে।

ঘাতক ছেলে অতুলের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডোমার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম বলেন, পরিবারের লোকজন মামলা দিয়েছে মামলা নং ০৮ তারিখ, ২১/০১/২৫ইং এরই ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার সকালে অতুলকে বিঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।