ভোগডাবুড়ীতে পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির অফিস ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন

2025-09-25 15:16:15

মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু, ডোমার নীলফামারী:

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ১নং ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের সীমান্তপাড়া খাল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির অফিস ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন/লে আউট প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে উপজেলার ভোগডাবুরী ইউনিয়নের ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়, ২য় সংশোধিত) এর আওতায় সীমান্তপাড়া খাল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির অফিস ভবনের লে-আউট প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই লে-আউট প্রদানের মধ্য দিয়ে প্রকল্পটি তাদের কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো। 

তবে এই উপ-প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হলো কৃষি এবং মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন আয় বর্ধণমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করা।

অফিস ভবনের লে-আউট প্রদান অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে অন্যন্নদের মাঝে নীলফামারী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ফিরোজ হাসান, উপজেলা প্রকৌশলী ফিরোজ আলম, ১নং ভোগডাবুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেয়াজুল ইসলাম কালু, কিউসিই রংপুর জাহাঙ্গীর আলম, আইডিএস রংপুর শফিকুল ইসলাম,, মৎস্য ফ্যাসিলিটেটর ও সোসিওলজিষ্ট (অঃদাঃ) মনিরুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী মোহিতুর রহমান চৌধুরী, উপ-সহকারী প্রকৌশলী, সিদ্দিকুর রহমান, ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক, রবিউল ইসলাম শাহ্, মিজানুর রহমান (মিজান), গণমাধ্যমকর্মী রবিউল ইসলামসহ অত্র এলাকার অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বক্তারা বলেন, সীমান্তপাড়া খাল দীর্ঘদিন ধরে কৃষকদের সেচ সুবিধা ও পানি ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা ও অবকাঠামোগত ঘাটতির কারণে এর পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার সম্ভব হয়নি। নতুন অফিস ভবন নির্মাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে পানি ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়ন সম্ভব হবে।

এবিষয়ে ১নং ভোগডাবুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম কালু বলেন, “এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ভোগডাবুরী ইউনিয়নের সীমান্তপাড়ার কৃষকরা উপকৃত হবে। সেচ সমস্যার সমাধান হবে এবং ফসল উৎপাদন বাড়বে।”

এসময় প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে পানি ব্যবস্থাপনার টেকসই কাঠামো গড়ে তোলা। এর মাধ্যমে কৃষি খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে বলে তারা বিশ্বাস করেন।

উল্লেখ্য যে, অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা প্রকল্পের সফলতা বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং সময়োপযোগী এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে প্রশংসনীয় পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেন।