নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কনসালটেশন কমিটির প্রতিবেদন গত ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ তারিখ এর ৪.৩ সুপারিশমালা-আপু ৩. জাতীয়করণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত, প্রতিবেদদের আলোকে জাতীয়করণ বঞ্চিত প্রায় ৫ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার সুদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনায় আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর/২৫ ঢাকায় শিক্ষক সমাবেশ কর্মসূচি পালনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষক ঐক্য পরিষদের রংপুর বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে উক্ত বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও রংপুর বিভাগীয় সমন্বয়ক নওশাদ আহমেদ, ওমর ফারুক, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আল আমিন,আঃ মান্নান, বিভাগীয় সমন্বয়ক সোহেল, এমদাদ, মশিউর রহমান, জেলা সমন্বয়ক রবিউল ইসলাম, হায়দার আলী, জাকারিয়া মামুন, সমন্বয়ক লালমনিরহাট শারমিন আক্তার, নীলফামারী, অরুণ কুমার, পঞ্চগড় প্রদিপ কুমার, গাইবান্ধা নন্দ দুলাল প্রমূখ।
বিভাগীয় সমাবেশ সূত্রে জানা যায়, বিগত ০৯ জানুয়ারি ২০১৩ খ্রিঃ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের ঘোষণা প্রদান করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০ জানুয়ারি ২০১৩ খ্রিঃ ‘তারিখে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ২৭ মে ২০১২ খ্রিঃ তারিখের পূর্বে প্রতিষ্ঠিত ও পাঠদানের অনুমতির জন্য আবেদনকৃত বিদ্যালয় সমূহকে জাতীয়করণের আওতায় আনা হয়।
কিন্তু প্রায় ৫হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিবেচনা, প্রভাবশালী মহলের সুপারিশের অভাব এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে জাতীয়করণ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রায় ১০ লক্ষ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে, যারা সরকারের দেয়া উপবৃত্তি, বিস্কুট, মিড ডে মিল, স্কুল ড্রেস এর অর্থ, শিক্ষা সামগ্রী ও অন্যান্য মৌলিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। শিক্ষা জীবনের শুরুতেই তারা বৈষম্যের মুখোমুখি হচ্ছে, যা ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক।
তাই প্রধান উপদেষ্টার সুদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনায় বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষক ঐক্য পরিষদের আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় শিক্ষক সমাবেশ কর্মসূচি পালনে সকলের সহযোগীতা কামনা ও সর্বাত্বক অংশ গ্রহণ করার আহবান জানানো হয় সমাবেশ থেকে।