বদরগঞ্জের লালদীঘি ওয়াক্ফ স্টেট পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

2025-09-25 15:16:02

তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠণ

বদরগঞ্জ(রংপুর)প্রতিনিধি:

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার লালদীঘি ওয়াক্ফ স্টেট পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় এলাকার লোকজন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, লালদীঘি ওয়াক্ফ স্টেটের অধীনে রয়েছে ঐতিহাসিক লালদীঘি নয় গম্বুজ মসজিদ, একটি পুকুর এবং লালদীঘি বাজারের বেশিরভাগ দোকানপাট। এছাড়াও রয়েছে ১৭ একর সম্পত্তি। এসব দেখভালের জন্য একটি কমিটি রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদাধিকার বলে লালদীঘি ওয়াক্ফ স্টেটের সভাপতি। এছাড়া সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য পদে আসীন রয়েছেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। অভিযোগে বলা হয়েছে, মসজিদের দাতা গোষ্ঠিকে বাদ দিয়ে আওয়ামী দোসররা দলের ক্ষমতাকে পুঁজি করে দেড়যুগ ধরে ওয়াক্ফ স্টেট জবর দখল করে রেখেছে। এর ফলে তারা পুরোপুরি স্বেচ্ছাচারী বনে গেছেন। তারা সভাপতিকে অন্ধকারে রেখে নিজেদের ইচ্ছেমত ওয়াক্ফ স্টেট পরিচালনা করছেন। এরই অংশ হিসেবে সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র আওয়ামীলীগ করার কারণে অনেকেই পরিচালনা কমিটির সদস্য হয়েছেন। এর ফলে মসজিদে আসা সাধারণ মুসল্লিদের সাথেও তারা খারাপ আচরণ করে থাকেন। এমনকি মুসল্লিরা নামাজরত অবস্থায় থাকার পরেও প্রচণ্ড গরমে মসজিদের ফ্যান বন্ধ করে দেন। এমনকি কমিটির অধিকাংশ সদস্যই মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায় করা তো দূরের কথা মসজিদ প্রাঙ্গনেই উপস্থিত হননা। এছাড়া এক সদস্য নিজেই একাধিক দোকানঘর ভোগদখল করছেন। আবার দোকানঘর বরাদ্দ দেয়ার নামে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েও দোকানঘর বরাদ্দ দেননি। আবার কেউ কেউ হোটেল ও রেষ্টুরেন্ট দিয়ে বাজারের পয়ঃনিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে করে বাজারের সর্বত্রই দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে এবং বাজারের পরিবেশ মারাত্মক হুমকিতে রয়েছে। এদিকে মহাজের নামে এক সদস্য নিজের নামে দোকান বরাদ্দ নিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আরেকজনকে লিজ দিয়েছেন। এমনকি ওই সদস্য লালদীঘি মসজিদের পুকুর লিজের জামানতের অর্থ ছিনিয়ে নেয়ার মত ঘটনাও ঘটিয়েছেন। এসব কারণে এলাকার লোকজন আওয়ামী আমলে গঠিত ওয়াক্ফ স্টেট পরিচালনা কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন করে পরিচালনা কমিটি গঠণের দাবী জানিয়ে লিখিত আবেদন করেছেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠণ করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেই পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।