আজহারুল ইসলাম সাথী ঘোড়াঘাট, দিনাজপুরঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার এমপিও ভুক্ত বিদ্যালয়ে চলছে প্রকাশ্য কোচিং ব্যানিজ্য। বিশেষ ক্লাস নেওয়ার নামে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষেই ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে মাসে হাজার হাজার টাকার হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে ইনভেস্টিগেশন টিম অফ ঘোড়াঘাট এর অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এ অবৈধ ব্যবসা চালাচ্ছেন একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ইনভেস্টিগেশন টিম অফ ঘোড়াঘাট এর অনুসন্ধানে উঠে আসে উপজেলার শালিকাদহ আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়, এই বিদ্যালয়ে বিশেষ ক্লাসের নামে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মাসে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। একজন শিক্ষক সরকারী বেতন ছাড়া মাসে গড়ে ১০-১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করছেন। নাম না প্রকাশের স্থানীয় এক অভিভাবক বলেন, “আমাদের সন্তানদের বলা হয় বিশেষ ক্লাস না করলে পরীক্ষায় নম্বর কমে যাবে। তাই মাসে ৩০০-৫০০ টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছি। একজন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী জানায়, “ক্লাসে স্যার বলেন বিশেষ ক্লাসে সব বুঝিয়ে দেওয় হয় যা পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করতে পারবে। তাই বিষেশ ক্লাসে না গেলে পরীক্ষায় খারাপ করবে। এ বিষয়ে ঘোড়াঘাট উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার ধীরাজ সরকার বলেন, “বিদ্যালয়ে কোচিং বা টাকার বিনিময়ে বিশেষ ক্লাস নেওয়া সম্পূর্ণ বেআইনি। অভিযোগ বা প্রমাণ পেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এ বিষয়ে স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, বিদ্যালয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা রক্ষায় এ ধরনের অর্থ বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে এখনই। তা না হলে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হবে।