মানব পাচারকারীর বিরুদ্ধে পাটগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের

2025-09-25 15:12:45

পাটগ্রাম(লালমনিরহাট) প্রতিনিধি:

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে অবৈধ পথে ভারতীয় তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশ নিয়ে এসে লাপাত্তা ও পাচারের উদ্যেশ্যে রবির প্রতারণামূলক কাজে লিপ্ত হওয়ায় সচেতন মহলে নিন্দার ঝড় উঠলে বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রেসক্লাব পাটগ্রামের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাফিউল ইসলাম সাফি।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) প্রেসক্লাব পাটগ্রাম ও পাটগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটির সমন্বয়ে এ ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ও মানবপাচারকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নিতে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়।

অভিযোগ মর্মে জানা যায়,গত -০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ দুপুর অনুমান ০১.০০ ঘটিকার সময় পাটগ্রাম বাঙ্গালিয়ানা হোটেলে পিছনে আওয়ামিলীগ নেতা সাইদুল ইসলাম মিঠুর বাসা থেকে ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার থানা ময়নাগুড়ি কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্রী রিংকি বেগম ওরফে রিয়া মনি ও পাটগ্রাম পৌরসভার রসুলগঙ্জ থানা পাড়া এলাকার আমিনুর রহমানের পুত্র রবি(২৫) কে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে। আটকের পর  তারা নিজেদেরকে প্রেমিক প্রেমিকা বলে দাবি করে। পরে গনমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতে রবির পিতা আমিনুর রহমান রবি ও রিংকি বেগমকে বিবাহ দিবে মর্মে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে জানাজায় রবি ও তাহার পরিবার মেয়েটিকে একা রেখে পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটিকে তার দূরসম্পর্কের চাচা বাপ্পি (৪০), পিতা-মৃত দুলাল হোসেন, সাং-বেংকান্দা (পৌরঃ ১নং ওয়ার্ড), থানা-পাটগ্রাম, জেলা-লালমনিরহাট এর বাড়ীতে নিয়ে যায়। কিন্তুু ৫ দিন অতিবাহিত হলেও কোন সুরাহা না হওয়ায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর শনিবার পাটগ্রাম থানা পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে বিজিবি এর মাধ্যমে ভারতে হস্তান্তর করে।

ভারতে হস্তান্তরের আগে রিংকি বেগম সাংবাদিকদের জানান, ভালবাসার জন্য নয় ভালবাসার নামে পাচার করে বিক্রি করাই উদ্যেশ্য ছিল রবি ও তার পরিবারের। কারন আমি আসার সময় রবি ও তার পরিবারের বড় বোন শিখা আপুর সাথে কথা বলেই এসেছি। শিখা আপুই আমাকে বাংলাদেশে আসতে বলেছে। ভারতে হস্তান্তরের সময় রিংকি বেগমের পিতা আব্দুর রহিম সাংবাদিকদের জানান, আমার মেয়েকে ভালবাসার নামে তার পাচার করার জন্যেই এনেছে। ভালবাসলে তো তার বিয়ে করতো, ধরা পরার পর একা রেখে পালাতো না।

এবিষয়ে মামলার বাদি সাফিউল ইসলাম জানান, পাটগ্রাম যেহেতু একটি সীমান্ত বেষ্টিত এলাকা এখানে মাদক নারী পাচার সহ নানা অপকর্ম ঘটনার সম্ভবনা রয়েছে। রবি যেহেতু মেয়েটিকে অবৈধভাবে কাঁটাতারের বেড়া কেটে চোরাকারবারিদের মাধ্যমে এনেছ  তাই তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে নারী পাচার চক্রের একটি সন্ধান পাওয়া যাইতে পারে। এর আগেও দহগ্রাম ছিটমহল দিয়ে ভারতে পাচার করার সময় বিজিবি নারীশিশুসহ বেশ কয়েজনকে উদ্ধার করে।

উক্ত অভিযোগে রবিকে এক নম্বর ও তার বড় বোন শিখাকে দুই নম্বর আসামী করে অভিযোগ করা হয়। এবিষয়ে পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, এই অভিযোগ দিয়ে কিছুই হবে না। মেয়েটিকে ভারতে মামলা করতে বলেন। ভারত থেকে আমাদের কাছে তদন্তের জন্য নথি আসলে আমার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।