চিলমারীতে ব্রিজ নির্মাণে নানা অনিয়মের অভিযোগ

2025-09-25 15:14:29

চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার পাত্রখাতা এলাকায় নির্মাণাধীন ৬৮মিটার ব্রিজের সংযোগ সড়কে নিম্নমানের ইট ব্যবহারসহ নানা অনিয়ম করা হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

জানা গেছে,স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি)এর অধীনে ২০২১-২২অর্থ বছরে রংপুর বিভাগ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় উপজেলার রমনা ইউনিয়নের পাত্রখাতা এলাকায় ৬৮মিটার দৈর্ঘের একটি ব্রিজ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নের ঠিকা চুক্তি সম্পাদিত হয় ২০২১সালের ডিসেম্বর মাসে।যার চুক্তি মূল্য ছিল ৩কোটি ৪০লক্ষ ৩১ হাজার ২৯৬টাকা। ব্রিজটির কাজ করেন কুড়িগ্রামের ঠিকাদার খায়রুল কবির লেলিন। দরপত্র অনুযায়ী ৮জুন ২০২৩ সালে ৬৮মিটার ওই ব্রিজের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন অজুহাতে এখনও তা শেষ করা হয়নি।শুরু থেকেই কাজটিতে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠে। বিভিন্ন পক্ষ থেকে অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও তা আমলে না নিয়ে ঠিকাদারের খেয়াল-খুশি মত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা যায়।

কয়েকদিন পূর্বে ব্রীজের দুই পাশে ব্লক এবং গাইড পোস্ট নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হলে এলাকাবাসীর বাঁধার মুখে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ ব্লক বাতিল করে দিলেও তা না সরিয়ে কৌশলে সেগুলো ব্যবহার করা হয়।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ব্রীজের সংযোগ সড়কে এইচবিবি(হেরিং বোন) নির্মানে রাতের আধারে নিম্ন মানের ইট বসিয়ে কাজ সমাপ্ত করার চেষ্টা করে তারা।নিম্নমানের ইট বুঝতে পেরে শুক্রবার সকালে কাজে বাঁধা দেয় এলাকাবাসী।এলাকাবাসীর বাঁধার মুখে কাজ বন্ধ হলে উপজেলা প্রকৌশলী সরেজমিন ঘুরে ইট সরিয়ে নিতে আদেশ দেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে,উপজেলার রমনা ইউনিয়নের পাত্রখাতা এলাকায় নির্মাণাধীন ৬৮মিটার ব্রিজটির পশ্চিম পাশ্বের ১০০মিটার এইচবিবি(হেরিং বোন) রাস্তার স্থলে মাত্র ২০মিটার রাস্তায় নিম্নমানের ইট বিছিয়ে বালু দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে। এসময় পাত্রখাতা রিয়াজুল জান্নাহ্ দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওঃ আঃ আজিজ আকন্দ অভিযোগ করে বলেন,ব্রীজে কাজেও অনিয়ম গাইড পোস্ট এবং ব্লক নির্মাণ ও বসানোর সময় অনিয়ম করা হয়।আবার সংযোগ হেরিং বোন সড়ক নির্মাণে নিম্ন মানের ইট বসিয়ে কাজ করছেন তারা। স্থানীয় অনেকে অভিযোগ করে বলেন,ব্রিজ নির্মানের সময় (৫আগষ্টের আগে) অনিয়মের বাঁধা দিতে গেলে মামলা আর হামলার ভয় দেখিয়ে কাজে নানা অনিয়ম করা হয়েছে।

ব্রিজ নির্মাণ কাজের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত ম্যানেজার আঃ মান্নান বলেন,অফিসের নির্দেশনায় ইট সরিয়ে নেয়া হয়েছে এবং অফিস যেভাবে বলবে সেই ভাবে কাজ করা হবে।

উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.আতাউর রহমান বলেন,ওই ব্রিজের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী শের আলীর বদলী হওয়ায় কাউকে দায়িত্ব দিয়ে অফিস অর্ডার করা হয়নি। প্রতিদিন যেকোন একজন একবার কাজ দেখতে যাই। এইবিপিতে নিম্নমানের ইট আনা হয়েছে, যা বাতিল করে সরে নিতে বলা হয়েছে। 

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী(চঃদাঃ)মো.জুলফিকার আলী জানান,সরেজমিন পরিদর্শন করে নিম্নমানের ইটগুলো বাতিল করা হয়েছে।ইট অপসারন না হওয়া পর্যন্ত কোন কাজ হবে না বলে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।