পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি:
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার করতোয়া নদীর থেকে বালু উত্তোলন চলমান থাকায় হুমকির মুখে পড়েছে কৃষি জমি এবং রাস্তা ঘাট। অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে গ্রামীণ কাঁচা পাকা সড়ক ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। উপজেলা করতোয়া এবং নলেয়া নদীসহ প্রায় অর্ধশতাধিক পয়েন্ট থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে দিবারাত্রী বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
বিশেষ করে করতোয়া নদীতে ব্যাঙের ছাতার মতো মেশিন বসিয়েছেন বালু ব্যবসায়ীরা। উপজেলার করতোয়া নদী ছাড়াও নলেয়া নদীসহ পুকুর গুলোতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে রাত দিন সমান করে বালু উত্তোলন করছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে পার্শ্ববর্তী এলাকার কৃষি আবাদি জমি এবং ঘর-বাড়ি। অচল হয়ে পড়েছে ওই সব এলাকার চলাচলের রাস্তাগুলো।
জানা গেছে, করতোয়া নদীর ধার ঘেঁষে টুকুরিয়া,বড় আলমপুর, মিঠিপুর ইউনিয়ন, চতরা ইউনিয়নসহ সবগুলো পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। টুকুরিয়া ইউনিয়নের পারবোয়ালমারী গ্রামে আমিনুল ইসলাম,আনোয়ার হোসেন এবং কিনা মিয়া ৩ টি স্থানে এবং কাচদহ ড,ওয়াজেদ ব্রীজ সংলগ্ন সাজেদুল ইসলাম দিবারাত্র বালু উত্তোলন ও বিক্রি করছে। বড় আলমপুর ইউনিয়নের শিমুলবাড়ি গ্রামে আরিফুল ও ফুল মিয়া ,বানুর ঘাটে বিপ্লবসহ কয়েকজন,হোসেনপুর গ্রামে নাজমুল ইসলাম,বাঁশপুকুরিয়া গ্রামে জাহিদ মিয়া,শালপাড়ার দক্ষিনে মোসাদ্দেকুল,আফসার, মাহবুবর রহমান,আনিছার, চতরা ইউনিয়নের গিলাবাড়ি গ্রামে মনারুল ইসলাম পৃথক পয়েন্টে বালু উত্তোলন করছে। বালু পয়েন্টের আশ-পাশের রাস্তা দিয়ে বাইসাইকেল,ভ্যান-রিক্সা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এবং পথচারীদের অনেকটাই হয়রানি বাড়ছে।
উল্লেখ, এক বছর পুর্বে বেশ কিছু বালু পয়েন্টে প্রশাসন হানা দিয়ে মোটা অংকের অর্থ জরিমানা করা হলেও দীর্ঘদিন ধরে এসব পয়েন্টে কোন প্রকার অভিযান নেই। এজন্য কিছুতেই যেন থামছে না বালু উত্তোলনকারীদের কর্মকান্ড। টুকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন-আমার বাড়ি হতে পীরগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তায় ধুলো আর বালু। এসব রাস্তার ধুলো বালির কারনে সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সেই সাথে রাস্তার দুই পাশের ঘর-বাড়ি গুলোতে ধুলো বালি ঢুকে পরিবেশ নষ্টসহ লোকজনের শ্বাসকষ্ট,নিউমোনিয়াসহ করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে মর্মে আশংকা করা হচ্ছে।
পীরগঞ্জ উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার তানভির আহমেদ এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন,করতোয়া নদী থেকে বালু উত্তোলন সরকারিভাবে নিষেধ রয়েছে। আমাদের কাছে এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে যারা অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু তুলছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।