রংপুর প্রেসক্লাবের সদস্যভূক্তির জন্য আর কোন বাঁধা রইলো না॥ নিম্ন আদালতের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত

2025-09-25 15:14:29

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রংপুর প্রেসক্লাবের সদস্যভূক্তির জন্য আর কোন বাঁধা রইলো না। রংপুর প্রেসক্লাবের সদস্যভূক্তির উপর নিন্ম আদালতের নিষেধাজ্ঞা ছিল। গতকাল সোমবার রংপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এক আদেশে ওই নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করা হয়েছে। ওই আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মোঃ নাজির এ আদেশ দেন।

উল্লেখ্য রংপুর প্রেসক্লাবের ৩১জন সদস্য প্রেমক্লাবের সদস্যভূক্তির পথ রুদ্ধ করে রাখেন। তারা নিজেদের আর্থিক দুর্নীতি, অনিয়ম এর কারণে দীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে কোন সদস্যপদ দিচ্ছেন না। রংপুর প্রেসক্লাব সমাজসেবা অধিদপ্তরের একটি নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান। তাই স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা সমূহ( রেজিষ্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৬১ সালের ধারা ৯ উপধারা-২ মোতাবেক পরিচালিত হয়ে আসছে। বিধি-বিধান অনুযায়ী সংস্থার নির্বাচিত কমিটিকে নির্বাচনের ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে নিবন্ধন সংস্থার অনুমোদন নিতে হয়।

সর্বশেষ মোনাব্বর হোসেন মনা সভাপতি ও মেরিনা লাভলী যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রংপুর জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের কার্যালয়ে নির্বাচনের প্রায় দেড় বছর পর তাদের একটি কমিটি অনুমোদনের জন্য আবেদন করেন।

এসব ঘটনায় সমাজসেবা জেলা কার্যালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে নানা অনিয়ম, আর্থিক দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগের সত্যতা পায়। এর পরে নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হওয়ায় ও স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা সমূহ( রেজিষ্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৬১ সালের ধারা ৯ উপধারা-২ মোতাবেক তাদের আবেদনকৃত কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়নি সমাজসেবা অধিদপ্তর। ওই সব অভিযোগে তাদের ওই কমিটিকে বরখাস্ত করে সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রথমে তত্বাবধায়ক কমিটি পওে তা সংশোধন কওে প্রশাসক নিয়োগ করেন প্রেসক্লাবের অন্তবর্তী দায়ীত্ব পালনের জন্য। পরবর্তীতে রংপুর জেলা প্রশসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে রংপুর প্রেসক্লাবের প্রশাসক নিয়োগ প্রদান করা হয়। তিনি তার আইনী ক্ষমতাবলে প্রেসক্লাবের দীর্ঘ ৩৩ বছরের সদস্যভূক্তির যে বাঁধা তা অপসারনের জন্য নতুন সদস্য হালনাগাদ করার জন্য সদস্যপদের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেন গত ১৩ মে’২৫ তারিখ। এই সদস্য ভূক্তির জন্য প্রায় দুই শতাধিক সাংবাদিক আবেদন করেন। তাদের সদস্য হতে বাঁধা সৃষ্টি করতে বরখাস্তকৃত সভাপতি মোনাব্বর হোসেন মনা সমাজসেবা অধিদপ্তরের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। পরে তা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সাথে আপোষ মিমাংসা সূত্রে তা একতরফাভাবে মহানগর সহকারী জজ আদালত থেকে প্রত্যাহার করে নেন। এর পরে একই বিষয়ে একই আদালতে এবং সদস্যভূক্তির কার্যক্রম বন্ধ করতে বরাখাস্তকৃত সাধারণ সম্পাদক মেরিনা লাভলী বর্তমান চলমান মামলাটি দায়ের করেন। আদালতে অসত্য তথ্য ও ভুল বুঝিয়ে আদালতে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন। এবং নিম্ন আদালতে প্রেসক্লাবের সদস্যভূক্তি কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন । সেই আদেশের বিরুদ্ধে সোমবার রংপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপীল মামলা দাখিল শুনানীসহ নিষেধাজ্ঞা আদেশ প্রত্যাহারের আবেদন শুনানী হয়। আদালত শুনানী শেষে মূল মামলার জন্য পরবর্তীতে ৫ অক্টোবর দিন ধার্র্য করেন একই সাথে নিষেধাজ্ঞা নিম্ম আদালতের নিষেধাজ্ঞা স্থগিতের আদেশ প্রদান করেন।

এতে প্রেসক্লাব প্রশাসকের পক্ষে শুনানীতে অংশ নেন জিপি একরামূল হক ও অতিরিক্ত জিপি এম,এ আবু বকর সিদ্দিক বাচ্চু।