গঙ্গাচড়ায় চাঁদা না পেয়ে পুকুরের মাছ নিধনের অভিযোগ-দুই লাখ টাকার ক্ষতি

2025-09-26 22:01:37

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে না পাওয়ায় এক মৎস্য চাষীর পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে  উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের পূর্ব কচুয়া ফকিরপাড়া গ্রামে।

মৎস্য চাষী ওই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আনিছুর রহমান (৩৬)।

অভিযুক্তরা হলেন, একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে হিরু (৩২), নয়া মিয়ার ছেলে আসাদ (৩৫) মৃত আজিজার রহমানের ছেলে মামুন (৪০) মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মুসা (৪৫) সহ আরো অনেকে।

মৎস্য চাষী আনিছুর জানান, স্থানীয় এক পরিবারের সাথে আমাদের জমি-জমা  সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব চলে আসছে।

ওই জমির সমাধান করে দেয়ার জন্য অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন থেকে আমার কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছে।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর তারা দ্বন্দ্বকৃত জমি মাপ জোগ করার জন্য আসে। এ সময় আমার কাছে তারা পুনরায় তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি ওই চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে মারপিট করে চাঁদার টাকা না দিলে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে প্রাণনাশসহ  বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করার হুমকি ধামকি দেন।

এ ঘটনায় আমার মা আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে অভিযুক্ত চাঁদাবাজরা আমার পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে মাছ নিধন করে। এতে আমার প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

তিনি আরো জানান, হিরু মিয়া ওয়ার্ড  আওয়ামী লীগের নেতা সেই সুবাদে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকে এলাকায় চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে আসছে।

স্থানীয় বকুল মিয়া ও চাঁদ মিয়া জানান, ঘুম থেকে সকালে উঠে আমরা পুকুরে মরা মাছগুলো দেখতে পাই। যে ব্যক্তিরা মাছ নিধন করে দেশের ও পুকুর মালিকের আর্থিক ক্ষতি  করেছেন তারা তাদের শাস্তি দাবি করেন।

অভিযুক্ত হিরু মিয়া বলেন, অভিযোগকারীর সাথে আমার পূর্বশত্রুতা রয়েছে, তারা আমাকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা চাঁদাবাজি ও মাছ নিধনের অভিযোগ করছে।

তিনি কখনোই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না বলে জানান।

গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল এমরান বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।