বায়েজীদ, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা):
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ৭নং পবনাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান মন্ডলের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে ইউএনও মহোদয়সহ জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে অত্র ইউনিয়নের ৬ জন ইউপি সদস্য।
সদস্যরা বলেন, অভিযোগ দাখিলের পর অফিস কর্তৃক তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। পরবর্তী চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কার্যকরি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান মন্ডল নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কা না করে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে সরকারি পরিপত্র উপেক্ষা করে মনগড়া ভূমিকা পালন করে আসছেন। এক্ষেত্রে ইউপি সদস্যদের সাথে কোনরূপ পরামর্শ না করে বেপরোয়া মানসিকতায় অবৈধপন্থায় পরিষদের কার্যক্রম অব্যাহত চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে ইউনিয়নবাসী সরকারি প্রকৃত সেবাপ্রাপ্তি থেকে যেমন বঞ্চিত হচ্ছেন তেমনি উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড থেকে অত্র-এলাকা পিছিয়ে পড়ছে। চেয়ারম্যান ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে ১% অর্থ ছাড়াও পরিষদের আদায়কৃত অর্থ ব্যাংকে জমা না রেখে তিনি নিজেই পকেটস্থ করেছেন। এছাড়া জন্ম নিবন্ধনের সরকারি নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত ফি আদায় অব্যাহত চালিয়ে যাচ্ছেন।
অপরদিকে, জনসাধারণের নিকট গ্রাম আদালতের বিপরীতে ১০/২০ টাকা নেয়ার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান সেখানে ৪’শ টাকা পর্যন্ত ফি নিচ্ছেন। টিসিবি সুবিধাভোগীর নামীয় কার্ডের পণ্যসামগ্রী তিনি নিজেই উত্তোলন করে আত্মসাত করছেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ভিডব্লিউবি কর্মসূচির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার অন্তর্ভূক্তির তালিকা অনিয়ম করে অর্থের বিনিময় দরিদ্রদের বাদ দিয়ে নিজস্ব আত্মীয় স্বজনের মাঝে এসব কার্ড বিতরণ করেন। ২০২১-২২ অর্থবছর এলজিএসপি’র বরাদ্দকৃত অর্থ ভূয়া প্রকল্প দাখিলের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। হাট-বাজার উন্নয়ন সহায়তা প্রকল্পের টাকায় ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে শুধুমাত্র ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে সমস্ত টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।
স্থানীয় জনগণ জানান, চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের দ্বন্দ্বে আমরা সাধারণ জনগন পরেছি বিপাকে। তাদের দ্বন্দ্বের কারনে জনগন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি দ্রুত তাদের সমস্যা সমাধান করার জন্য।
পবনাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুব রহমানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকতা জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি। উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ড সদস্য শাহিনুর বেগম, মেরিনা বেগম, মোঃ শাহ আলম সরকার, বাবু, গোলাম রসুল ও উজ্জ্বল প্রমুখ।