নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিনিয়র সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে সিটি স্ক্যানের পর তার অপারেশনের প্রস্তুতি চলছে।
সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদলকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে হামলার ঘটনায় আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে শনিবার বিবৃতি ও কর্মসূচি দেয় রংপুর সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজ।
আজ রবিবার ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে কমিশনার মজিদ আলীর সাথে মতবিনিময় করেন রংপুর সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজ।
সাংবাদিকরা বলেন সরকারি চাকরিবিধি উপেক্ষা করে রংপুর সিটি করপোরেশনের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক নগরবাসীকে জিম্মি করতে নাগরিক সেবা বন্ধ করে দেয়। ২৪ এর অনুস্থানে জীবনদানকারী সকল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়।
শহীদ পরিবার, আহত ও কারাবন্দি এবং তাদের পরিবারের কর্মসংস্থান তৈরিতে সরকারী-বেসরকারি যেকোন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে তা সকল গণমাধ্যমে ফলাও করে তুলে ধরা হবে।
তাদের কর্মসংস্থানের জন্য রংপুর সিটি করপোরেশনে অটো রিকশার লাইসেন্স দেয়ার জন্য যে ৪৫১ জনের তালিকা প্রক্রিয়াধীন আছে, সেই তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
এবং শহীদ পরিবার, প্রকৃত জুলাই যোদ্ধা, আহত জুলাই যোদ্ধা, রাজবন্দিদের সঠিক ভাবে যাছাই-বাছাই করা প্রয়োজন।
সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদলকে অপহরণ ও নির্যাতন এবং মব তৈরি করে সাংবাদিকদের হেনস্তার ঘটনার মামলায় শুধুমাত্র ২. জনকে গ্রেফতারের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন।
এ ঘটনায় জড়িত আসামীদের প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানো, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মর তৈরির চেস্টা, ফেসবুকে লাইভ, কর্মসচির নামে সাংবাদিকদের হুমকি ধামকি, মিথ্যাচার, অপ-প্রচার এবং বিষোদাগার করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
এসব ঘটনাকে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থি ও গণমাধ্যমের কন্ঠ বোধ করার অপচেস্টা বলে উল্লেখ করেন বক্তারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আরপিজে রংপুর বিভাগের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক, সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নান, রংপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান, রংপুর সিটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্বপন চৌধুরী, রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সহ-সভাপতি শফিউল করিম শফিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মানিক, কোষাধ্যক্ষ বাদশা ওসমানী, রংপুর সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন চৌধুরী, রংপুর ফটো জানালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আফজাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম রিপন, রিপোটাস ইউনিটি সভাপতি শিউলি বেগম প্রমুখ।
এ সময় রংপুর বিএনপির মহানগর আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু বলেন, আমরা সব সময় সাংবাদিকদের সাথে আছি। সাংবাদিকদের হেনস্থা আমরা কোনদিন এই মেনে নেব না। দোষী ব্যক্তিরা গ্রেফতার হোক এটি আমাদের কাম্য।
এই মতবিনিময় সভায় পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী বলেন, সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদলকে মব সৃষ্টি করে হেনেস্তাকারীরা কেউ রেহাই পাবে না।
আসামিদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে না পারলেও দোষীদের চার্জশিটে তাদের নাম যাবে। আদালত থেকেই তাদের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হবে।