নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসব চলছে উৎসবমুখর পরিবেশে। উপজেলাজুড়ে এবার মোট ৯৩টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
হিন্দু শাস্ত্রমতে, দেবী দুর্গা এবার এসেছেন গজে (হাতিতে) চড়ে। এর অর্থ—মর্ত্যলোক ভরে উঠবে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধিতে। তবে বিদায় নেবেন দোলায় চড়ে।
পঞ্চমীতে বোধন ও ষষ্ঠীতে আমন্ত্রণ, অধিবাস এবং ষষ্ঠী বিহিত পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে পূজার আনুষ্ঠানিকতা। ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যায়ক্রমে মহাসপ্তমী, মঙ্গলবার মহাঅষ্টমী, বুধবার মহানবমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মহাদশমী পূজার মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের দুর্গোৎসব।
মঙ্গলবার অষ্টমী পূজা উপলক্ষে সকাল থেকে উপজেলার মণ্ডপগুলোতে ভক্তদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। অষ্টমী কুমারী পূজা, আরতি ও প্রসাদ বিতরণকে কেন্দ্র করে ভক্তদের মধ্যে ছিল গভীর আবেগ, ভক্তি ও আনন্দের উচ্ছ্বাস। নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ—সবাই মেতে উঠেছেন দেবী দর্শনে।
শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি কমলকান্ত রায় বলেন, “অষ্টমীর দিন মণ্ডপগুলোতে ব্যাপক ভিড় হচ্ছে। উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহল আমাদের সহযোগিতা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকেও পূজা উপলক্ষে মনিটরিং অব্যাহত আছে। উপজেলা বিএনপির সভাপতি চাঁদ সরকার, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা নায়েবুজ্জামান, জাতীয় নাগরিক পার্টির সমন্বয় কমিটির প্রধান রিফাতুজ্জামান এবং গণধিকার পরিষদের নেতা হানিফ খান সজীব পূজা নির্বিঘ্ন রাখতে নিয়মিত মাঠপর্যায়ে যোগাযোগ রাখার কথা জানিয়েছেন।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল এমরান জানান, প্রতিটি পূজামণ্ডপে নিয়মিত তদারকি চলছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, “উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নজরদারি করা হচ্ছে। কোনো ধরনের অঘটন যাতে না ঘটে, সেদিকে কড়া নজর রাখা হয়েছে।