ঘোড়াঘাট, প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে জালালপুর এলাকার সরকারি কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী রেহেনা আক্তারের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ও সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে হয়রানির অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে জাহাঙ্গীর জানান, ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর তাদের বিয়ে হলেও ২০২৪ সালের ২৫ নভেম্বর তালাক সম্পন্ন হয়। এর আগে, রেহেনা আক্তার পূর্বের স্বামীকে তালাক না দিয়েই জাহাঙ্গীরের সাথে দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পূর্বের স্বামীর সাথে মামলা চালিয়ে যান ।
পূর্বের স্বামীর কাছ থেকে ভরণপোষণ আদায় করার পর জাহাঙ্গীরের সাথে বিবাহ আইনগত ভাবে পাকাপোক্ত করার জন্য সুকৌশলে জাহাঙ্গীরের নিকট থেকে আবারও রেজিস্ট্রি কাবিন করে নেয়। বৈবাহিক জীবনে তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী রেহেনা গোপনে বিভিন্ন পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে ভ্রমণ, ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট ব্যবহার, গর্ভপাত ও শারীরিক অস্ত্রোপচারের তথ্য গোপনসহ একাধিক অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিলেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, তালাকের পর থেকেই রেহেনা আক্তার মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করিয়ে তার পেশাগত ও সামাজিক সম্মানহানির চেষ্টা করছেন। এছাড়াও রেহেনা আক্তার তার প্রথম স্বামীকে তালাক না দিয়েই জাহাঙ্গীরকে বিয়ে করেন এবং পরবর্তীতে প্রথম স্বামীর নামে মামলা অব্যাহত রাখেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সস্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ওসমানপুর এলাকার তরুণী সুমিকে প্রতারণার অভিযোগে আত্মহত্যায় প্ররোচনার সংবাদ প্রকাশিত হলেও, সুমির পরিবার তা মিথ্যা দাবি করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে জাহাঙ্গীরকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা বলা হলেও, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা তার কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়েছেন। মুঠোফোনে অভিযুক্ত রেহেনা আক্তার বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
তিনি আরও বলেন, জাহাঙ্গীর যদি তার প্রথম বিয়ের কথা গোপন রাখতে পারেন, তাহলে আমি গোপন রাখলে সমস্যা কোথায়? ঘোড়াঘাট ইউএনও রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি উভয় পক্ষকে ডেকে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন। তবে রেহেনা আলাদা থাকতে চাওয়ায় তাকে টাঙ্গাইলে বদলির পরামর্শ দেওয়া হয়। জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে সরকারি ঘর দখলের অভিযোগটি সত্য নয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।