ঘোড়াঘাট, প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট ও গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর সীমানা দিয়ে বয়ে চলেছে করতোয়া নদী। এই নদীর কারণে নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন দুই পারের মানুষ। এসব মানুষ হাজির ঘাটে দীর্ঘদিন ধরে ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন। স্থানীয়দের মতে, এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে, শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সহজ হবে এবং দুর্ঘটনা কমবে। বর্তমানে নদীর দুই পাড়ের প্রায় ৪০ গ্রামের দুই পারের কয়েক হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা নৌকা। শুষ্ক মৌসুম হোক বা ভরা বর্ষা— সব সময়ই নদীতে পানি থাকায় ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার হতে হয়। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হন পথচারী ও শিক্ষার্থীরা। কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের চরাঞ্চলের ঝাঁপর, মগলিশপুর, কুঁড়িপাড়া, হিন্দুপাড়া, কাশিয়াবাড়ী, মেঘার মোড়, গনকপাড়া ও দক্ষিণ মির্জাপুরসহ আশপাশের গ্রামগুলো কৃষি উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। আলু, পেঁয়াজ, রসুন, হলুদ, মরিচসহ বিভিন্ন ফসল এখান থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু সেতু না থাকায় কৃষকদের বাজারজাত করতে বড় ভোগান্তি পোহাতে হয়। কাশিয়াবাড়ীর সবজি চাষি রহিম আলী বলেন, নৌকা না পেলে রাস্তা ঘুরে বাজারে যেতে হয়, এতে সময় ও খরচ দুটোই বাড়ে। ব্রিজ হলে এই ভোগান্তি দূর হবে। অন্যদিকে স্থানীয় কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, নৌকা না পেলে তাদের স্কুলে যাওয়া সম্ভব হয় না। অনেক সময় নৌকায় উঠতে গিয়ে পানিতে পড়ে দুর্ঘটনার শিকারও হতে হয়। ঘোড়াঘাট পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র আব্দুস সাত্তার মিলন বলেন, ‘হাজির ঘাটে ব্রিজ নির্মাণ হলে কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ সহজ হবে।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হাজির ঘাট অত্যন্ত গুুত্বপূর্ণ। এখানে ব্রিজ নির্মাণ করা হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হবে। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করব।