নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীতে টানা দুদিনের ভারি বৃষ্টিপাতের পর হঠাৎ ঝড়ে প্রায় ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়েছে। স্থানীয়রা এখন খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন।
রোববার (৫ অক্টোবর) সকালে কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম দলিরাম বানিয়াপাড়া গ্রামে কয়েক মিনিটের তীব্র ঝড়ে বাড়িঘর ভেঙে যায়। গাছপালা সহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।এছাড়া বিদ্যুতের তার ছিড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে কয়েকটি গ্রামে।
নাসিমা বেগম বলেন, সকালে রান্না করছিলাম, হঠাৎ ঝড়ের শব্দ পেলাম। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘরের চালা উড়ে গেল। এখন সব ঠিক করতে জানি না কিভাবে করব, আমরা গরীব মানুষ।
গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জোনাব আলী জানান, সকালের ঝড়ে প্রায় ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়েছে। অনেকে বাড়ির সবকিছু হারিয়েছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রীতম সাহা বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ পরিচালনার জন্য ফায়ার সার্ভিস পাঠানো হয়েছে। গবাদীপশু ও মানুষের চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে তাদের সহায়তা করা হবে। আপাতত শুকনা খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নীলফামারীতে টানা দুদিনের ভারি বৃষ্টিপাতের পর হঠাৎ ঝড়ে প্রায় ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়েছে। স্থানীয়রা এখন খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন।
রোববার (৫ অক্টোবর) সকালে কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম দলিরাম বানিয়াপাড়া গ্রামে কয়েক মিনিটের তীব্র ঝড়ে বাড়িঘর ভেঙে যায়। এতে ধান, কলা, ভুট্টা, পেঁয়াজ, রসুন ও অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অসংখ্য গাছপালা ভেঙে পড়েছে এবং কিছু দোকানপাটও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া বিদ্যুতের তার ছিড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে কয়েকটি গ্রামে।
বানিয়াপাড়া গ্রামের মিষ্টার বলেন, রাত থেকে বৃষ্টি হচ্ছিলো। সকালে ঘুমের মধ্যে হঠাৎ ঝড় এসে ঘর উড়িয়ে নিয়ে গেল। এখন পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে রয়েছি।
এমদাদুল হক বলেন, ঝড়ের কারণে আশপাশের ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি নিমিষে শেষ হয়ে গেছে। ফসলের জমিরও ক্ষতি হয়েছে। কয়েক মিনিটের ঝড়ে সবকিছু শেষ হয়ে গেলো।
নাসিমা বেগম বলেন, সকালে রান্না করছিলাম, হঠাৎ ঝড়ের শব্দ পেলাম। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘরের তালা উড়ে গেল। এখন সব ঠিক করতে জানি না কিভাবে করব, আমরা গরীব মানুষ।
গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জোনাব আলী জানান, সকালের ঝড়ে ৩ গ্রামের ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়েছে। অনেকে বাড়ির সবকিছু হারিয়েছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা হবে।আহত৩০জন গুরুতর আহত ৫ জন কিশোরগঞ্জ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি হয়েছেন। বাকী ২৫ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রীতম সাহা বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ পরিচালনার জন্য ফায়ার সার্ভিস পাঠানো হয়েছে। গবাদীপশু ও মানুষের চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে তাদের সহায়তা করা হবে। আপাতত শুকনা খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।