মোঃ হাবিবুল হাসান হাবিব, ডিমলা (নীলফামারী):
উজান থেকে নেমে আসা ভারীবর্ষন ও পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি গত রোববার বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এবং বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলী মাঠ তলিয়ে গেছে।
গত রোববার বিকেল তিনটার দিকে পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা ব্যারেজের ৪৪ টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জনিয়েছন ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
সোমবার ৬ (অক্টোবর) সকাল ১০ টায় বিপদসীমার উপর দিয়ে তিস্তা ব্যারেজে দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও তা কমতে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই, খগা খড়িবাড়ী, গয়াবাড়ী, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, টেপাখড়িবাড়ী ও পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের পরিবার গুলো পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে এলাকার কৃষকদের আমন ধানের ক্ষেতসহ নানা ধরনের সবজী বাগান।
টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহিন বলেন, উপজেলার উত্তর খড়িবাড়ী, পূর্ব খড়িবাড়ী ও দক্ষিন খড়িবাড়ী গ্রামের আংশিক এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে প্রায় সাতশতাধিক পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে নীচু এলাকার কৃষি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে গবাদি পশুর খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তবে কোন ধরনের প্রাণহানী ঘটেনি। পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী তীরবর্তী এলাকায় জনগনকে সর্তক করে নিরাপদ স্থানে সড়িয়ে যেতে বলেছে।
পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন ভারত থেকে পানি আসায় তিস্তা পানির পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছে নদী এলাকার মানুষ। কৃষকের আমন ধান ও সবজি বাগান তলিয়ে গেছে।
সরে জমিনে দেখা যায়, নীলফামারীর ডিমলায় সাতটি ইউনিয়নসহ ডালিয়ার তিস্তা ব্যারেজ এলাকার ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ভারীবর্ষন ও পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর উপকুলবর্তী উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই, খগা খড়িবাড়ী, গয়াবাড়ী, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, টেপাখড়িবাড়ী, পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে । সর্বমোট সাতটি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইমরানুজ্জামান বলেন, আকষ্মিক বন্যায় কয়েকটি ইউনিয়নে শতাধিক পরিবার পানিবন্দি ও কৃষি জমি তলিয়ে গেছে। দ্রুত ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কার্যক্রম শুরু করা হবে এবং ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকদের উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে সহযোগীতা করা হবে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তার পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারেজের জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। ডিমলা উপজেলায় তিস্তা নদী উপকূল এলাকায়় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা নদীর উপকুলবর্তী এলাকার লোকজদের দূর্যোগ মোকাবেলায় সর্তক করা হয়েছে। পানি দ্রুত কমে যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।