হিলিতে বিদ্যুতের লোডশেডিং, অতিষ্ট জনজীবন

2025-10-08 17:56:34

মোঃ আব্দুল আজিজ,হিলি:

দিনাজপুরের হিলিতে বিদ্যুতের অতিরিক্ত লোডশেডিং অতিষ্ট জনজীবন। দিনের বেলায় কিছুটা বিদ্যুৎ থাকলেও রাতের বেলায় অধিকাংশ সময়ে বিদ্যুৎ থাকে না। রাত-দিন মিলে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে। অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে বসানো হয়েছে জামানত। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে প্রতিদিন এই উপজেলাতে চাহিদা ৮ মেগাওয়াট হলেও তারা পাচ্ছে মাত্র আড়াই মেগাওয়াট। তবে দ্রুত সমস্যা কেটে যাবে বলছেন তারা।

টানা কয়েকদিন ধরে তীব্র গরম ও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে দিনাজপুরের হিলির জনজীবন। সকাল থেকে শুরু হয়ে রাত অবধি বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার খেলায় চরম ভোগান্তি এখানকার বাসিন্দাদের। সবচেয়ে বেশি লোডশেডিং হচ্ছে গ্রামে। এতে জনজীবনের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেমে এসেছে অচল অবস্থা। গেলো সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া লোডশেডিং এখনো চলছে এ অঞ্চলে। উৎপাদন ঠিক থাকলেও চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ পাচ্ছেন স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ।

কথা হয় কয়েকজন ভুক্তভোগীর সাথে, তারা বলেন, বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার এই চক্রে ঘুম, কাজ, পড়াশোনা-সবকিছুই ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের অবস্থা নাজেহাল হয়ে উঠেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় পানিও ঠিকমতো তোলা যাচ্ছে না, ফলে নিত্যদিনের কাজেও দেখা দিয়েছে বিপত্তি। তীব্র গরমে দেখা দিচ্ছে শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগ। বিদ্যুতের লোডশেডিং এর মধ্যে আবার বিদ্যুৎ বিভাগ নতুন আইন জারি করছে। মিটার প্রতি ৪৮০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত জামানত দেওয়ার জন্য নোটিশ দিয়েছেন। এতে করে গ্রাহকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া চলছেন।

হিলি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর এজিএম মোঃ সারয়ার্দি বলেন, বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুইটি ইউনিটে বর্তমানে ১৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। যা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে তবে দেশের কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকার কারণে একটু চাপ বেড়েছে। হাকিমপুর উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ৮ মেগাওয়াট। তার বিপরীতে জাতীয় গ্রিড থেকে মিলছে মাত্র ২ থেকে আড়াই মেগাওয়াট ফলে দিতে হচ্ছে