শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর : উপাচার্য

2025-10-12 20:34:38

বেরোবি প্রতিনিধি :

আজ ১২ অক্টোবর ২০২৫ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী বলেছেন, জন্মলগ্ন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষা ও গবেষণায় উন্নত জাতি গঠনের মূলমন্ত্রে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, “পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু বলেছিলেন—দেশ ভালো হয় যদি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভালো হয়। বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রের সমস্যার নির্ণয় করে সমাধানের পথ নির্দেশ করে। উন্নত বিশ্বের অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।”

উপাচার্য আরও বলেন, “আমরা গবেষণাধর্মী উচ্চশিক্ষার পরিবেশ গড়ে তুলতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। গবেষকধর্মী শিক্ষক নিয়োগ, গবেষণা বরাদ্দ বৃদ্ধি, মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী করতে বৃত্তি প্রদান, ডিন অ্যাওয়ার্ড চালু ও নিয়মিত রিসার্চ জার্নাল প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে একাডেমিক ভবন সম্প্রসারণ, নতুন হল ও ভবন নির্মাণ, মাস্টার প্ল্যান তৈরি, এবং শিক্ষক নিয়োগে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করা হচ্ছে।

ড. শওকাত আলী বলেন, “পূর্বের রাজনৈতিক টর্চার ও সিট বাণিজ্যের সংস্কৃতি সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়েছে। সিট বণ্টনে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে। দরিদ্র ও প্রান্তিক পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি চালু হয়েছে।”

শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের IQAC নিয়মিত প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও রিসার্চ সেমিনারের আয়োজন করছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব বিকাশ ও গণতান্ত্রিক চর্চা এগিয়ে নিতে শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান উপাচার্য।

তিনি আরও জানান, “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন আয়োজনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া বাংলা একাডেমির সহায়তায় বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের পৈতৃক বাড়িতে গবেষণা ইনস্টিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি উত্তরবঙ্গের শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।”

উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গবেষণা ও পেশাগত ক্ষেত্রে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জনকে আরও সমৃদ্ধ করছে।

তিনি শহীদ আবু সাঈদের কথা উল্লেখ করে বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাঈদ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার বলিষ্ঠ প্রতিবাদ শিক্ষার্থীদের প্রেরণা জোগাবে।”

শেষে উপাচার্য বলেন, “শিক্ষা, গবেষণা ও নৈতিকতায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গবেষকরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবেন।”