রংপুরে জামায়াতে ইসলামী’র ১০ কিলোমিটারব্যাপী মানববন্ধন

2025-10-14 23:52:45

নিজস্ব প্রতিবেদক:

 “জুলাই সনদে পিআর পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করে নভেম্বরে গণভোট দিতে হবে"— বক্তারা

 পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিকে জুলাই জাতীয় সনদের অন্তর্ভুক্ত করে গণভোটের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রংপুরে ১০ কিলোমিটারের বিভিন্ন পয়েন্টে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রংপুর জেলা ও মহানগর শাখা।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১১টায় আয়োজিত এ মানববন্ধন নগরীর সিও বাজার থেকে শুরু হয়ে মেডিকেল মোড়, ডিসির মোড়, কাচারি বাজার, শহর এলাকা অতিক্রম করে মডার্ন মোড় পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত হয়। এতে হাজারো নেতাকর্মী অংশ নেন।

এসময় নগরীর কাচারি বাজার পয়েন্টে নেতৃত্ব দেন জামায়াতে ইসলামী রংপুর অঞ্চল, জেলা ও মহানগর শাখার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

মহানগর জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ এটিএম আজম খানের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা এনামুল হক ও মহানগর সেক্রেটারি কে এম আনোয়ারুল হক কাজল এর পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, রংপুর জেলা আমীর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, মহানগর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক রায়হান সিরাজী, রংপুর-৬ আসনের জামায়াত মনোনিত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা নুরুল আমিন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন রংপুর মহানগর শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট কাওছার আলী প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, পিআর পদ্ধতি ছাড়া কোনো নির্বাচনে জনগণের প্রকৃত মতামত প্রতিফলিত হয় না। জুলাই জাতীয় সনদের আলোকে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করলেই কেবল ন্যায়ভিত্তিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।

বক্তারা আরও বলেন, দেশের বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থা জনমতকে অবমূল্যায়ন করছে এবং একদলীয় শাসনের পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে। তাই পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়ন, রাষ্ট্রীয় সংস্কার, গণহত্যার বিচার, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা এবং জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচন আয়োজন— এই ৫ দফা এখন জাতীয় দাবি।

মানববন্ধনে বক্তারা সরকারকে সতর্ক করে বলেন, জনগণের ন্যায্য দাবিগুলো উপেক্ষা করলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।

মানববন্ধনে জেলা ও মহানগর জামায়াতের আমির, সেক্রেটারি, বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ, ছাত্রশিবিরসহ সহযোগী সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে “গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ন্যায়ভিত্তিক নির্বাচন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার” অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।