বাংলাদেশ জমইয়তে আহলে হাদীসের নবনির্বাচিত নেতৃত্বকে রংপুরে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা

2025-10-16 07:19:06

ইসলামী চেতনা জাগরণ ও ঐক্যবদ্ধ সমাজ গঠনে নতুন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ জমইয়তে আহলে হাদীসের নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে অভিনন্দন জানিয়ে রংপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক বর্ণাঢ্য ও আবেগঘন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুরের নর্থ ভিউ কনফারেন্স রুমে রংপুর জেলা ও মহানগর জমইয়তে আহলে হাদীস এবং জমইয়তে যুবান আহলে হাদীস যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা ও মহানগর আহলে হাদীসের শীর্ষ নেতৃত্ব, আলেম-উলামা, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, ছাত্রনেতা ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনের মাধ্যমে নবনির্বাচিত নেতৃত্বকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। বাংলাদেশ জমইয়তে আহলে হাদীসের ১১তম কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে নবনির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব ড. মুজাফফর বিন মহসিন এবং যুগ্ম মহাসচিব শাইখ আব্দুল মাতীন বেলালকে সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতারা আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জমইয়তে আহলে হাদীসের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা জনাব শাহজাহান কবীর এস.কে.এস। তিনি বলেন, “আহলে হাদীস আন্দোলন কোনো দলীয় স্বার্থ নয়; এটি কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর সঠিক ব্যাখ্যা মানুষের মাঝে পৌঁছে দেওয়ার একটি পবিত্র দায়িত্ব। নতুন নেতৃত্ব এ দায়িত্ব পালনে আরও গতিশীল ভূমিকা রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন রংপুর জেলা জমইয়তে আহলে হাদীসের সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা মামদুল্লুর রহমান। তিনি বলেন, “বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কুরআন-সুন্নাহভিত্তিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি। নবনির্বাচিত নেতৃত্বের মাধ্যমে আহলে হাদীস আন্দোলন আরও সুসংগঠিত হবে এবং ইসলামী চেতনা জাগ্রত করবে।”

বক্তারা বলেন, আহলে হাদীস আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হলো ইসলামের বিশুদ্ধ ব্যাখ্যা ও দাওয়াত মানুষের দ্বারে পৌঁছে দেওয়া। কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর আলোয় সমাজকে আলোকিত করা এবং বিভ্রান্তিমুক্ত ইসলামী চেতনা প্রতিষ্ঠাই সংগঠনের প্রধান অঙ্গীকার। তাঁরা আরও বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ইসলামী ঐক্য রক্ষা, বিভ্রান্তি দূর করা এবং তরুণ প্রজন্মের মাঝে ধর্মীয় জ্ঞান বিস্তারই সময়ের গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা।

অনুষ্ঠানে বক্তারা আহলে হাদীসের ঐতিহ্য ও শুদ্ধ আকিদা প্রচারে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। তাঁরা বলেন, “যেখানে কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর আলো থাকবে, সেখানেই থাকবে সত্য ও ন্যায়ের বিজয়।”

বক্তারা সংগঠনের নৈতিক, সামাজিক ও দাওয়াতি কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণ এবং স্থানীয় পর্যায়ে ইসলামী শিক্ষা ও সামাজিক সেবামূলক উদ্যোগ জোরদারের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের নামে কেক কাটা ও ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির পরিবেশ হয়ে ওঠে আবেগঘন। উপস্থিত সবাই নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি শুভকামনা জানান এবং ভবিষ্যৎ কর্মকৌশলে সফলতা কামনা করেন। শেষে দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা, ইসলামি মূল্যবোধের বিকাশ ও সংগঠনের কল্যাণ কামনায় মাওলানা মামদুল্লুর রহমানের নেতৃত্বে বিশেষ দোয়া পরিচালিত হয়। উৎসবমুখর ও ধর্মীয় আবেগে ভরপুর এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ইসলামী দাওয়াতি জাগরণের নতুন অনুপ্রেরণা হিসেবে স্থান করে নেয় উপস্থিত সবার হৃদয়ে।