ঘোড়াঘাট প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার হরিপাড়া আদর্শগ্রামে বাড়ির সীমানা সংক্রাস্ত বিরোধের জেরে এক বৃদ্ধা নারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মেয়ে মর্জিনা খাতুন বাদী থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন। দাখিলকৃত এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে কানাগাড়ি-হরিপাড়া এলাকার বাসিন্দা বায়েজ মিয়া (৬০), তার দুই ছেলে রানা মিয়া (৪০) ও তুহিন স্বপ্ন (২৮) এবং হরিপাড়া গ্রামের মৃত সুলতান মিয়ার ছেলে জামিল মিয়া (৩২) লাঠি, রড ও ধারালো সরঞ্জামসহ দলবদ্ধভাবে প্রবেশ করে ভুক্তভোগী নারীর বাড়ির সীমানার মধ্যে সীমানার খুঁটি পুততে থাকে। এ সময় বাধা দিলে তাকে মারধর এবং শারীরিকভাবে আঘাত করে। ভুক্তভোগীর পরিবারের দাবি, মারধরের ফলে বৃদ্ধার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা দেয় এবং গুরুতর হাড়ভাঙা জখমপ্রাপ্ত হয়। পরবর্তীতে তাকে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ঘটনার পর গত ৬ অক্টোবর আবারও অভিযুক্ত তুহিন স্বপ্ন বৃদ্ধা মহিলার ছেলে শরিয়ত হোসেনের গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হামলা করে এবং মামলা না করার জন্য হুমকি দেওয়া দেয়। এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে থানা পুলিশ দুই জনের নাম বাদ দিয়ে বাকী দুজনের নাম উল্লেখ করে এজাহার দাখিল করতে বলেন বলে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নাজমুল হক বলেন, "এ ঘটনায় একটি এজাহার দাখিল করেছিল। এর আগে এ বিষয় নিয়ে স্থানীয়ভাবে একটি শালিশ বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে বৃদ্ধা মহিলার পরিবারের পক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকা দাবী করা হয়েছিল। বিবাদীরা দাবী মানতে নারাজ হওয়ায় থানায় এজাহার দাখিল করা হয়। ছোট্ট একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ বিরোধ। এছাড়া ঘটনার সাথে দুইজন জড়িত ছিল। এজন্য জড়িত দুইজনের নাম উল্লেখ করতে বলেছি। জামিল নামে একটি ছেলের ধাক্কায় বৃদ্ধা মহিলা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। সে ছেলেটিও আসলে মানসিক প্রতিবন্ধী। ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের নামে এজাহার দাখিল করা হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তাদেরকে পরামর্শ দিয়েছি।