নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে ভাবিকে হ-ত্যার ঘটনার সাড়ে তিন মাস পর অবশেষে মূল অভিযুক্ত দেবর কমল চন্দ্র অধিকারীকে গ্রে-প্তার করেছে র্যাব।
বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে র্যাব-১৩ এর পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম দলিরাম গ্রামে শ্রী ধীরেন্দ্রনাথের বাড়ি থেকে তাকে গ্রে-প্তার করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গঙ্গাচড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মনকষা গ্রামের রতনের স্ত্রী কৃষ্ণা রানীকে গত জুলাই মাসে হ-ত্যা করা হয়। বিয়ের পর থেকেই কৃষ্ণার স্বামী রতন ও তার ভাই কমল চন্দ্রের মধ্যে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। চলতি বছরের মার্চ মাসে এক সড়ক দুর্ঘটনায় রতনের মৃ-ত্যুর পর ওই জমি নিয়ে কৃষ্ণা রানী ও দেবর কমলের মধ্যে বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বামীর মৃ-ত্যুর পর কৃষ্ণা রানীর নামে তার প্রাপ্য ৪০ শতক জমি রেজিস্ট্রি করার কথা ছিল। কিন্তু রেজিস্ট্রির আগের দিন সন্ধ্যায় পরিকল্পিতভাবে কৃষ্ণার শরীরে বিষাক্ত পদার্থ স্যালাইন বা ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করে হ-ত্যা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
পরদিন নিহত কৃষ্ণার বাবা দীজেন্দ্র চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় একটি হ-ত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাতজনকে আ-সামি করা হয়, যার মধ্যে প্রধান আ-সামি ছিলেন কমল চন্দ্র অধিকারী।
র্যাব-১৩ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থেকে প্রধান আ-সামি কমল চন্দ্র অধিকারীকে গ্রে-প্তার করা হয়েছে। তাকে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য গঙ্গাচড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল এমরান জানান, ‘পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে কমল গ্রেপ্তার হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’