বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিসমূহের কার্যক্রম, সক্ষমতা ও সমন্বয় প্রক্রিয়া নিয়ে কুড়িগ্রামে সেমিনার অনুষ্ঠিত

2025-10-24 00:51:58

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিসমূহের কার্যক্রম, সক্ষমতা ও সমন্বয় প্রক্রিয়া অনুধাবন”শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে কুড়িগ্রামে। বুধবার দিন ব্যাপি জেলা প্রশাসকের স্বপ্নকুড়ি সম্মেলন কক্ষে বেসরকারি সংস্থা ইএসডিও এবং হেলভেটাস-এর যৌথ উদ্যোগে গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন ও যাচাইয়ের জন্য আয়োজন করা হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আসাদুজ্জামান। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক তানভীর আহমেদ সরকার, জেলা তথ্য কর্মকর্তা শাহজাহান আলী, জেলা সমবায় কর্মকর্তা আতিউর রহমান, হেলভেটাস-এর মাহমুদুল হাসান ও আয়াতুল্লাহ আল মামুন এবং ইএসডিও-এর মশিউর রহমান ও আবু জাফর।

দিনব্যাপী সেমিনারে কুড়িগ্রাম জেলায় ঘন ঘন ও তীব্র দুর্যোগ বিশেষ করে বন্যা ও নদীভাঙনের—মুখোমুখি হয়ে জীবিকা হারাচ্ছে, ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি ও গুরুতর সামাজিক-অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে গঠিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিসমূহ দুর্যোগ প্রস্তুতি, প্রতিক্রিয়া ও পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালে হেলভেটাস বাংলাদেশ-এর সহায়তায় একটি গবেষণা পরিচালিত হয়। যার লক্ষ্য ছিল ডিএমসিগুলোর কার্যকারিতা মূল্যায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির কৌশল নির্ধারণ করা।

সেমিনারে উপস্থাপিত গবেষণা ফলাফলে কমিটি গুলোর বিদ্যমান শক্তি ও সীমাবদ্ধতা উভয়ই তুলে ধরা হয়। আশ্চর্যজনকভাবে দেখা যায়, ৬০ শতাংশ ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির (ইউডিএমসি) পর্যাপ্ত সম্পদ নেই, বিশেষ করে পাঁচগাছি ও বুড়াবুড়ি ইউনিয়নে। আবার ৫৪ শতাংশ ডিএমসি সদস্য দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কৌশল, পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা এবং দুর্যোগ সংক্রান্ত স্থায়ী আদেশ বাস্তবায়নে যথাযথ প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত। গবেষণার প্রধান সুপারিশ গুলোর মধ্যে রয়েছে আর্থিক সম্পদ বৃদ্ধি, আগাম সতর্কতা ব্যবস্থার উন্নয়ন, এবং পূর্বাভাসভিত্তিক অর্থায়নের মতো প্রযুক্তিগত অগ্রগতি কাজে লাগানো।

অনুষ্ঠানের বক্তারা তথ্যসংক্রান্ত চ্যালেঞ্জের বিষয়টি বিশেষভাবে তুলে ধরে বলা হয়,কুড়িগ্রাম যেহেতু সীমান্তবর্তী এলাকা। এছাড়াও, বিদ্যমান জাতীয় দুর্যোগ তহবিল ও বরাদ্দ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, অঞ্চলভিত্তিকভাবে জরুরি তহবিল ব্যবহার করে সম্পদ সরবরাহ, ঘনঘন ঘটিত দুর্যোগ মোকাবেলায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ যা জীবিকায়নের অগ্রগতিকে বারবার বাধাগ্রস্ত করে—এবং সরকার ও এনজিওগুলোর মধ্যে কার্যকর সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

সেমিনারে সরকারি,বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধিসহ মিডিয়াকর্মীগণ অংশ গ্রহণ করেন।

#