নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুরে সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা ও সুরক্ষা” শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষন কর্মশালা।
আজ ২৫ অক্টোবর সকাল ১০ টায় এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ প্রশিক্ষন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা এখন আর কেবল প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের বিষয় নয়, সাংবাদিকতা ও অধিকার রক্ষার সঙ্গেও এটি গভীরভাবে জড়িত। এই বার্তা সামনে রেখে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান 'ভয়েস' ধারাবাহিকভাবে এই ধরনের কর্মশালার আয়োজন করে।
এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন স্থানীয় সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কাজ করা তরুন সাংবাদিক এবং মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
কর্মশালায় আশগ্রহনকারীগণ ডিজিটাল নিরাপত্তা ও অনলাইন সুরক্ষার বিভিন্ন দিক, ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ বা স্ট্রেট মডেলিং, নিরাপদ ব্রাউজিং ও যোগাযোগ, এনক্রিপশন, দুই ধাপ বিশিষ্ট লগইন ব্যবস্থা, ডিজিটাল স্বাস্থ্যবিধি বা হাইজিন এবং প্রাইভেসি সচেতনতা বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষন লাভ করেন।
ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাও কার্যকর হয় না। এই দুটি অধিকার একে অপরের পরিপূরক।” তিনি আরও বলেন, "অনলাইনে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে ও সচেতন ডিজিটাল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে ডিজিটাল সাক্ষরতা বৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি।"
কর্মশালায় ডিজিটাল সুরক্ষার কৌশলপত্র উপস্থাপন করেন ভয়েস-এর প্রকল্প কর্মকর্তা, প্রিয়তা ত্রিপুরা। তিনি বলেন, "ডিজিটাল পরিসরে আমাদের নির্ভরতা বাড়ছে, বিশেষ করে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। এসব তথ্য নিরাপদ রাখতে তাদের ডিজিটাল নিরাপত্তার কৌশলগুলো মানা অত্যন্ত জরুরি।"
ডিজিটাল নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা বলেন, "যারা ডিজিটাল অধিকার সম্পর্কে সচেতন এবং যারা সচেতন নন, এই দুই শ্রেণির মধ্যে যথেষ্ট ব্যবধান রয়েছে। বিশ্বাসযোগ্য উৎস ছাড়াই তথ্য শেয়ার করা ডিজিটাল পরিসর ও অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে বড় একটি প্রতিবন্ধকতা।"
গবেষক ও মানবাধিকারকর্মী মোঃ নুরুন্নবী শান্ত বলেন, "আমাদের আইনগুলোকে আন্তর্জাতিক মান ও নির্দেশিকার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে হবে। গণমাধ্যমকর্মী, মানবাধিকারকর্মীদের ডিজিটাল নিরাপত্তার বিষয়গুলো গুরুত্ব দিতে হবে। কেবল তখনই আইনগুলো মানবাধিকারভিত্তিক হবে।
কর্মশালায় আর্টফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ও গুরুত্বপূর্ণ সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন, ভিপিএন, টর ব্রাউজারে নিরাপদ ব্রাউজিং, এনক্রিপ্টেড বার্তা এবং ডেটা ব্যাকআপের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এছাড়া, অংশগ্রহণকারীরা ভাইরাসযুক্ত লিংক চেনার উপায়, মোবাইল ও সোশ্যাল মিডিয়ায় গোপনীয়তা রক্ষা, মাঠপর্যায়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে পাবলিক ওয়াইফাই এড়ানো ও জিও-লোকেশন ট্র্যাকিং বন্ধ রাখা ইত্যাদি বিষয়ে অনুশীলন করেন।