পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি:
রংপুরের পীরগাছায় তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠছে শিক্ষানবিশ আইনজীবী সহকারী বিরুদ্ধে। শেখ কামাল নামে ওই আইনজীবী সহকারী বর্তমানে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। হয়রানিমূলক ওই মামলা থেকে অব্যাহতি ও ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে আজ (০৫ নভেম্বর) বুধবার বিকেলে প্রেসক্লাব, পীরগাছার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন আইনজীবী সহকারী শেখ কামাল।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তার স্ত্রী মারুফা বেগম পূর্বের স্বামীর নামে যৌতুক দাবির মামলা করতে রংপুর আদালতে যান। এসময় তার সাথে পরিচয়ের সুত্র ধরে তাকে মিথ্যা প্রলোভন এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়। বিয়ের পর মারুফা বেগম স্বামীর বাড়িতে না এসে বেপরোয়াভাবে চলাফেরা ও পর-পুরুষের সাথে মেলামেশা করতে শুরু করেন। তাঁর বেপরোয়া জীবন-যাপনের কারণে শেখ কামাল ও তাঁর পরিবারের লোকজনের সুনাম ক্ষুন্নসহ সামাজিক মর্যাদা নষ্ট হতে থাকে। তাঁকে সংশোধন করতে শত চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে গত ১৭ জুলাই ২০২৫ এ স্থানীয় শালিসী বৈঠকের মাধ্যমে খোলা তালাক প্রদান করেন।
এরপর মারুফা বেগম তার তালাক প্রদানকারী স্বামী শেখ কামালকে ফাঁসানোর জন্য ফন্দি করতে থাকেন। এ সুযোগে মারুফা বেগম অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প ও পীরগাছা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ক্ষেত্রে তিনি গ্রহণযোগ্য সাক্ষ্য-প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হন এবং সর্বশেষ নিজের এলাকা মিঠাপুকুর থানায় একটি হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেন।
শেখ কামাল অভিযোগে আরো বলেন, মারুফা বেগম একজন মামলাবাজ মহিলা। তিনি বিভিন্ন সময়ে অনেক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধ উপায়ে অর্থ আদায় করে থাকেন। কোনো প্রকার যাচাই-বাছাই বা সরেজমিন পরিদর্শন ও সুষ্ঠু তদন্ত না করে অজ্ঞাত কারণে তড়িঘড়ি করে মামলাটি রুজু করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি পুলিশ সুপার, রংপুর এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।