বিরলে আলু বীজ উৎপাদনে আলু রোপন কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন

2025-11-18 13:05:00

আতিউর রহমান, বিরল (দিনাজপুর):

বিরলে কৃষক মতিউর রহমান এর জমিতে আলু বীজ উৎপাদনে আলু রোপন কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন দিনাজপুর বিএডিসি হিমাগার এর উপ পরিচালক (আলু বীজ) কৃষিবিদ আবু জাফর মোঃ নেয়ামত উল্লাহ। এ সময় সহকারী পরিচালক মোসাঃ সুলতানা রাজিয়া ও সহকারী পরিচালক সাহাব উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।

সোমবার দুপুরে বিরলের রসুলশাহাপুর ব্লকের পুরিয়া গ্রামে উপ পরিচালক (আলু বীজ) কৃষিবিদ আবু জাফর মোঃ নেয়ামত উল্লাহ জানান, ব্রী ধান-৭৫ উঠার সঙ্গে সঙ্গে আমরা এখানে ২ টি জাতের আলু বীজ রোপন করছি। এখানে এক্সাটারিজ ও সানতানা নামের দুটি জাতের আলু বীজ রোপন করা হয়েছে। সানতানা আলুটি নতুন জাত, এটি বিএডিসি আলু-৩ নামে পরিচিত। এটাতে ড্রাইমেটার অনেক বেশি, শতকরা প্রায় ২২ ভাগ। এটা শিল্পে ব্যবহার করার উপযোগী।

তিনি আরো জানান, কৃষি একটি প্রযুক্তির ব্যাপার। চাষীদেরকে চাষাবাদের জন্য আমরা উৎসাহিত করি। এবার আলুর বীজের দাম অনেক কম। তাই এবার আবাদ করতেও অনেক খরচ কম পড়বে। আমরা যদি আলুর উৎপাদন বাড়াতে পারি তাহলে আমরা রপ্তানি করতে পারবো। আমরা উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষককে ভূর্তকী মূল্যে সার প্রদান করে আসছি। আবার কৃষককে আমরা ঋণ সহায়তা প্রদান করি। আমাদের দপ্তর থেকে কৃষকদের আলু চাষে পরামর্শ ও সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে থাকি।

কৃষক মতিউর রহমান জানান, এই জমিতে বিএডিসি থেকে আমি বীজ আলু উৎপাদন করি। নভেম্বর মাসের মধ্যে আলু বীজ রোপনের উত্তম সময়। আমি আলু উৎপাদন করে বিএডিসিতে বীজ হিসেবে সরবরাহ করি। দো-ফসলী থেকে তিন ফসলী জমিতে রূপান্তর করার জন্য মাঝারী থেকে একটু উঁচু জমি নির্ণয় করা হয়। এখানে ব্রী-৭৫ ধান আবাদ করে ১১০-১১৫ দিনে উৎপাদিত হয়। এ ধান উৎপাদন করে আমি আলু উৎপাদনের পর আবার ইরি-বোরো ধান রোপন করতে পারবো। এক একর জমির আলু উৎপাদনে সবকিছু মিলিয়ে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার খরচ হয়। গতবছর আমাদের আলুতে ক্ষতি, সরকার ক্রয় করতে চেয়ে পরে ক্রয় করেনি। আমাদের বিএডিসির যারা নীতি নির্ধারক আছেন, উনাদের প্রতি আমি একটা অনুরোধ করবো আলুর সঠিক মূল্য নির্ধারণে যেন একজন কৃষক প্রতিনিধি রাখা হয়। কৃষক প্রতিনিধি রেখে যেন আলুর সঠিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়।