আতিউর রহমান, বিরল (দিনাজপুর):
সেলিম রেজা গ্রুপ এর শাহী হিমাগার লিমিটেড-৮ এর সেতাবগঞ্জ রোডস্থ বিরল উপজেলার বটতলী নামক এলাকায় গ্রাহকদের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। আলু রাখা ও ফেরৎ নেয়ার সময় চরম ভোগান্তির শিকার হওয়া ভূক্তভোগী অসহায় গ্রাহকরা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এর ফলে চরম বিড়ম্বনাসহ মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির শিকার গ্রাহকেরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন হিমাগার থেকে।
সরজমিনে আমাদের প্রতিবেদককে ভূক্তভোগী গ্রাহকরা জানান, আলু রাখার সময় প্রায় ১৫ দিন যাবৎ দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে অপেক্ষা করে গাড়ীর ভাড়ার জরিমানা দিতে হয়েছে। এবার আলু নেয়ার সময় প্রয়োজনীয় কার্যাদি সম্পন্ন করার পরেও শ্রমিক সংকটে আলুর বস্তা প্রতি ৫০ থেকে ৮০ টাকা অতিরিক্ত প্রদান করলেই কেবলমাত্র রক্ষিত আলু ফেরৎ পাওয়া যাচ্ছে। শ্রমিকদের অতিরিক্ত অর্থ না দিলে দিনের পর দিন ভ্যানসহ পরিবহণ ফেরৎ নিয়ে যেতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হলেও কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী গ্রাহকেরা।
শাহী হিমাগার লিমিটেড- ৮ এর ব্যাবস্থাপক মোঃ গোলাম হোসেন শ্রমিক সংকটের কথা স্বীকার করে জানান, গ্রাহকেরা টাকা দিয়ে শ্রমিকদের খারাপ করতেছে। এ সময় একটু চাপ বেশি, দু’একদিনের মধ্যে চাপ কমে স্বাভাবিক হবে।
কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্য মতে, হিমাগারটির ধারণ ক্ষমতা প্রায় ১ লাখ ৯৫ হাজার মে. টন। প্রতিদিন আলু ফেরৎ প্রদান করার চাহিদা ৫-৬ হাজার মে. টনসহ সর্বোচ্চ ৭ হাজার মে. টন। অথচ প্রতিদিন আলু ফেরৎ প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে মাত্র ৩-৪ হাজার মে. টন।
নভেম্বর মাস আলু বোপনের উত্তম সময়। এভাবে প্রতিদিন আলু ফেরৎ প্রদান করা হলে আলু বোপনের উত্তম সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি কাঙ্খিত আলু উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছেন সাধারণ গ্রাহকেরা। হিমাগারটিতে কাজ করছেন মাত্র ২৩ জন শ্রমিক, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। হিমাগারের শ্রমিক সর্দার নিজ গ্রামে শ্রমিক নিয়ে কাজে আসার জন্য বেশ কয়েকদিন যাবৎ অনুপস্থিত। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে শ্রমিক বৃদ্ধি করে আলু ফেরৎ প্রদানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী গ্রাহকবৃন্দ।