ঘোড়াঘাটে শিশু ইশতিয়াক চোখের দৃষ্টি ফিরে, দেখতে চাই সবার মতো

2025-12-09 04:28:34

ঘোড়াঘাট প্রতিনিধিঃ

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কশিগাড়ী গ্রামের আরিফুল ইসলামের ছেলে (৮) বছরের শিশু ইশতিয়াক সরকার  জন্মের মাত্র পাঁচ মাস বয়স থেকেই লড়াই করছে জটিল কর্নিয়াল রোগের সঙ্গে। জন্মের পর থেকেই তার চোখ দিয়ে পানি পড়া, অস্বাভাবিক চোখের চাপ এবং আলোতে তাকাতে সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসকদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায় ইশতিয়াকের বাম চোখ সম্পূর্ণ অকার্যকর এবং ডান চোখের দৃষ্টিশক্তির প্রায় ৭৫ শতাংশ নষ্ট হযয়ে গেছে। প্রতিদিনই তার চোখের অবস্থার অবনতি হচ্ছে; দ্রুত চিকিৎসা না পেলে সে যে কোনো সময় সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে যেতে পারে। আরিফুল ইসলামের চাকরি হারিয়ে অসহায় বাবা

ইশতিয়াকের উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়মিত ফলোআপ, কর্নিয়া চিকিৎসা ও চোখের চাপ নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজনাজন। এসব চিকিৎসা চলছে রাজধানীর ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা তার পরিবারের পক্ষে অসম্ভব হযয়ে পড়েছে। ইশতিয়াকের বাবা আরিফুল ইসলাম আগে শ্যামলী পরিবহনে সুপারভাইজার পদে চাকরি করতেন, কিন্তু সেই চাকরিটিও চলে যাওয়ায় পরিবারের আয় সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে দিনমজুরির মতো কাজ করে কোনোমতে সংসার চালালেও ব্যয়বহুল চিকিৎসা তিনি আর বহন করতে পারছেন না। চোখের সমস্যার কারণে ইশতিয়াকের পড়াশোনাও থেমে গেছে। পড়ার সময় ব্লাকবোর্ড দেখতে না পারায় রানীগঞ্জ আদর্শ স্কুলে থেকে বের করে দেওয়া হয়। সে প্রথম শ্রেণিতে লেখাপড়া করত। পরে তাকে উপজেলার কলনী হাফেজিয়া একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করানো হলেও দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ায় সেখানেও সে সমস্যায় পড়ছে। ইশতিয়াকের বাবা আরিফুল ইসলাম বলেন, "ছেলেটাকে আবার সুস্থ দেখতে চাই। কিন্তু এখন আমার আর সামর্থ্য নেই। দেশ-বিদেশের মানুষ যদি একটু সহযোগিতা করেন, আমার ছেলে হয়তো আবার চোখের দৃষ্টি ফিরে পেতে পারবে।" চিকিৎসকদের মতে, ইশতিয়াকের চিকিৎসা ও নিয়মিত ফলোআপে লাখ টাকার মতো ব্যয় প্রয়োজন। পরিবারটি এখন সমাজের সহৃদয় মানুষের সাহায্যই একমাত্র ভরসা। ইশতিয়াককে অন্ধ হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে আপনার সামান্য সহযোগিতায় ফিরতে পারে তার জীবনের চোখের আলো। মানবিক সহায়তার জন্য যোগাযোগ মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ): ০১৭৩৭৮৯৭৭৪২। সোনালী ব্যাংক, রানীগঞ্জ শাখা: ১৮২৫৯০১০১৩৪১৪।