কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
হিমাঙ্কের কাটা নিম্নমুখী হওয়ায় কুড়িগ্রামে সাধারণ মানুষের সাধারণ অবস্হা জুবুথুবু। বুধবার সকাল ৬ টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৪ডিগ্রী সেলসি রেকর্ড করেছে রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। গত ১০ দিন থেকে কুড়িগ্রামের তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠানামা করলেও বুধবার হিমাঙ্কের কাটা নিম্নমুখী হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত জীবনযাত্রা। দিন ও রাতে হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বেশী অনুভুত হচ্ছে।
বিশেষ করে নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষ জন রয়েছে শীত কষ্টে।
বিকাল থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকে প্রচন্ড।
দিনের বেলা সুর্যের আলোয় চারদিকে আলোকিত হলেও তেমন উওাপ থাকে না।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা এলাকার নুর আলম বলেন শীতের কারণে কাজে যেতে দেরি হয়।ঠান্ডায় কাজ করতে মন চায় না, কাজ না করলে পেটে ভাত জোটেনা। জিনিসপত্রের যে দাম।
মন্ডল পাড়ার রফিকুল ইসলাম বলেন এবছর ঠান্ডায় মোর ছাওয়া পোয়া নিয়ে খুবই কষ্টে আছি।এলাও কাইয়ো মোক কম্বল দিল না।
একই এলাকার মফিজল বলেন ঠান্ডায় কাজ করলে হাঁত পা জ্বালাপোড়া করে।
এদিকে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষাথীদের শীতের ঠান্ডায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেতে গড়িমসি করছে।
অপরদিকে হাসপাতালগুলোতে রয়েছে শীতজনিত রোগীর প্রচন্ড ভিড়।
কুড়িগ্রাম সদর জেনারেল হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা:স্বপ্নন কুমার বিশ্বাস জানান শীতের কারণে শীতজনিত রোগীরা জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলা হাসপাতালে রোগীরা আউটডোরে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করছে।
এবিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক অন্নপূর্ণা দেবনাথ বলেন শীতবস্ত্র বিতরণের তালিকা সম্পন্ন হয়েছে অতি শীঘ্রই শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হবে।
জেলার ৯ উপজেলার জন্য ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়াগেছে এ টাকায় স্হানীয় মার্কেট থেকে কম্বল ক্রয় করে বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।