পাটগ্রাম(লালমনিরহাট)প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাট জেলার বালু মহল খ্যাত পাটগ্রাম উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার সর্বত্র অবৈধভাবে রাস্তা-ঘাট আবাদী ফসলের মাঠ এমনকি ধরলানদী রক্ষা বাঁধ খুঁড়ে বেপরোয়াভাবে সর্বত্র চলছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব।
পাটগ্রাম উপজেলার জোংড়া ইউনিয়নের ডাংগিরপার এলাকায় ধরলা নদীরক্ষা বাধ খুঁড়ে বেপরোয়াভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি মহল। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সিসি ব্লক সরিয়ে বাঁধ কেটে নদী থেকে সরাসরি ট্রলি চলাচলের রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। এতে আগামী বর্ষা মৌসুমে ওই কাটা স্থান দিয়ে সহজেই পানি বসতবাড়ি সহ ফসলি জমিতে প্রবেশ করবে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড লালমনিরহাট এর সহকারী প্রকৌশলী চঞ্চল চৌধুরী সাথে কথা বললে তিনি জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
তবে পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল ইসলাম জানান, ইউএনও মহোদয়ের সাথে কথা বলে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
বর্তমানে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ঘাটেরপার, ব্রিজের পাড়, মাষানটারি, পেদিরবাড়ি, কাউয়ামরি, বাংলাবাড়ি, মির্জার কোট, কুচলিবাড়ী, রাবারড্যাম, ডাঙ্গিরপারসহ ৩০/ ৩৫ টি পয়েন্টে প্রত্যেকদিন ৩/৪ শত ট্রলি দিয়ে কয়েক হাজার ট্রলি বালু উত্তোলন করে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কের দু পাশে স্তুপ করে রাখা হয়েছে। এসব বালু ট্রাক লোড করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যত্রতত্র নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বালু উত্তোলন ফলে পরিবেশের ব্যাপক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ধরলা নদীর গতিপথ পরিবর্তন সহ নদী ভাঙ্গন ও অকাল বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া অবৈধভাবে বালু পরিবহনের ফলে গ্রামের রাস্তা ভেঙ্গে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঝুকিতে পড়েছে স্কুল কলেজ গামী শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। প্রতিদিনই ঘটছে ছোটবড় নানা দূর্ঘটনা।
বেলতলী এলাকার লতিফুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন ভোররাত হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ি সামনদিয়ে কয়েকশট্রলি দ্রুত গতিতে চলে ফলে আমাদের চলাচলের মারাত্মক অসুবিধা হয়েছে। বাংলাবাড়ি এলাকার আলম মিয়া জানান, রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে আমাদের এলাকায় কোন রিক্সা বা অন্যকোন আসে না ফলে রোগি পরিবহন সহ যাতায়তে খুবেই কষ্ট হয়েছে