কিশোরগঞ্জ ধাইজান ব্রীজের উইং ওয়াল ঘেঁষে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক ॥ হুমকির মুখে ব্রীজের অবকাঠামো

2025-12-22 00:14:29

নীলফামারী প্রতিনিধি:

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা শহরের ধাইজান ব্রীজের দুই প্রান্তের উইং ওয়াল ও রেলিং ঘেঁষে অবৈধভাবে দোকানপাট ও বাড়ীঘর নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। এতে করে ব্রীজটির অবকাঠামো হুমকির মুখে পড়েছে ।

নীলফামারী সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে জলঢাকা - কিশোরগঞ্জ (জেড-৫০২২) সড়কের কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে ধাইজান নদীর উপর ৫৭ দশমিক ৭১ মিটার দৈর্ঘ্যরে ধাইজান ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়। টেংগনমারী থেকে কিশোরগঞ্জ এবং কিশোরগঞ্জ থেকে রংপুর যাওয়ার একমাত্র সড়ক হচ্ছে এটি। এ কারণে এই ব্রীজটি এই এলাকার মানুষের কাছে খুবেই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু‘ সম্প্রতি স্থানীয় প্রভাবশালীরা  ব্রীজটির দু’প্রান্তের উইং ওয়াল,রেলিং ও পিলার ঘেঁষে অবৈধভাবে দোকানপাট ও বাড়ীঘর নির্মাণের প্রতিযোগিতা শুরু করেছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে রিপন মিয়া নামের এক প্রভাবশালী ব্রীজের পশ্চিম দিকের উইং ওয়ালের সাথে লাগিয়ে ইটের গাঁথুনি দিয়ে দোকানঘর নির্মাণ করছেন। রাজমিন্ত্রিরা ভালো করে ইট বসানোর জন্য ব্রীজের ওয়ালে হাতুরি দিয়ে আঘাত করছেন। ব্রীজের পূর্ব প্রান্তের উইং ওয়াল,রেলিং ও পিলারের সাথে নির্মাণ করা হয়েছে আল মদিনা নামে একটি হোটেল। হোটেলের সামনে ব্রীজের রেলিং ঘেঁষে রাখা হচ্ছে ভারী যানবাহন। এরকম ব্রীজের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি  অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান ব্রীজের দু’প্রান্তে অবৈধ স্থপনা নির্মাণের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে ব্রীজটির অবকাঠামা। ব্রীজটির উইং ওয়াল ও রেলিং ঘেঁষে দোকানপাট নির্মাণ করায় সেখানে প্রতিনিয়ত লোকজনের সমাগম থাকছে। এতে করে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। প্রভাবশালীরা দিনে দুপুরে ব্রীজ ঘেঁষে ইট-পাথরের অবৈধ স্থপনা নির্মাণ করলেও প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছেন। অথচ এই ব্রীজের উপর দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করছেন উপজেলা প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্মকর্তারা।

নীলফামারী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সুলতান মাহমুদ জানান কিশোরগঞ্জ ধাইজান ব্রীজের দু’প্রান্তে অবৈধভাবে নির্মাণ করা স্থপনা নিজ খরচে সরিয়ে নিতে দশ ব্যক্তিকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরিয়ে না নিয়ে হাইওয়ে এ্যাক্ট ২০২১ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা  নেয়া হবে।