রাবি সংবাদদাতা:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেছেন, এই দেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদ কায়েমের যে কোনো অপচেষ্টা নতুন করে ‘লক্ষ হাদি’ তৈরি করবে। তিনি বলেন, ভয় দেখিয়ে শাসন কায়েম, ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা কিংবা বিদেশি আধিপত্য চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে রাকসুর উদ্যোগে আয়োজিত ‘বুদ্ধিবৃত্তিক, সাংস্কৃতিক ও ইনসাফের বাংলাদেশ বিনির্মাণের লড়াইয়ে পথপ্রদর্শক একজন হাদি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “যারা আজ ভয় দেখিয়ে শাসন করতে চায়, যে শাসন ফ্যাসিবাদ কায়েমের প্রচেষ্টা চালায়, যে শাসন ভারতীয় আধিপত্যবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চায়—আমরা ইনশাআল্লাহ তার টুঁটি চেপে ধরবো। শহিদ ওসমান হাদী শুধু একজন ব্যক্তি ছিলেন না, তিনি ছিলেন একটি আন্দোলন। তার শাহাদাতের মাধ্যমে সেই আন্দোলন শেষ হয়ে যায়নি। আমরা যারা তার ভাই হিসেবে এই জমিনে আছি, আমরা সেই লড়াই অব্যাহত রাখবো।”
তিনি আরও বলেন, “শহিদ ওসমান হাদী সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিপ্লবের পথে কাজ করে গেছেন এবং তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব বর্তমান প্রজন্মের ওপরই ন্যস্ত রয়েছে।”
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব বলেন, “মাত্র ৩২ বছর বয়সে হাদির পাশে দাঁড়ানোর মতো মানুষ আজকের বাংলাদেশে বিরল। সম্ভবত এই বয়সে বাংলাদেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের এত ভালোবাসা খুব কম মানুষই পেয়েছে। ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে গেলে নিজের সঙ্গেই নিজের লড়াই করতে হয়। ইনসাফ মানে শুধু নিজের লোকের জন্য কাজ করা নয়; বরং এমন মানুষের অধিকারও রক্ষা করা, যে ব্যক্তি আপনার ক্ষতি করতে পারে।”
উপাচার্য আরও বলেন, “দুঃখজনক হলেও সত্য, যারা নিজেদের হাদির অনুসারী বলে দাবি করে, তাদের অনেকের মাঝেই ইনসাফের চর্চা নেই। দখলদারিত্ব, ভাগ-বাটোয়ারা আর হিংসা দিয়ে একটি সুন্দর রাষ্ট্র গড়া যায় না। আমরা চাই হাদির গুণাবলি বর্তমান তরুণ প্রজন্মের মাঝে প্রতিফলিত হোক।”
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদার, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রফিকুল ইসলাম এবং ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আমিরুল ইসলাম কনক। এ ছাড়া রাকসুর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা সভায় অংশগ্রহণ করেন।