প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, রাজারহাট(কুড়িগ্রাম):
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা জুড়ে দিন দিন বাড়ছে শীতের তীব্রতা। হিমেল বাতাস, ঘন কুয়াশা আর রাতভর বৃষ্টির মতো ঝরা শিশিরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যমতে, বুধবার(২৪ডিসেম্বর) রাজারহাট উপজেলাসহ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দুপুরের পর কিছুক্ষণ সূর্যের দেখা মিললোও তেমন কোন উত্তাপ ছিল না। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতভাগ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও তীব্র করে তুলেছে। নদনদী বেষ্টিত চরাঞ্চলগুলোতে শীতের প্রকোপ যেন কয়েক গুণ বেশি। রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিনই বাড়ছে সর্দি-কাশি, জ্বর ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা গোলাম রসুল রাখি জানান।
এদিকে হিমেল বাতাস আর কনকনে ঠান্ডায় তিস্তা ও ধরলার চরবাসীরা ঘরবন্দি হয়ে পড়ছেন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা।
চাকিরপশার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন- আমার ইউনিয়নে প্রায় ২৬হাজার ভোটার। এর মধ্যে ১০/১২ হাজার মানুষ শীতের চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। সরকারি সহায়তা হিসেবে এখন পর্যন্ত মাত্র ২০০টি কম্বল পাওয়া গেছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। শীতার্ত মানুষদের নিয়ে তিনি মহাবিপাকে পড়েছেন বলেও জানান। তাই তিনি বলেন এসব কম্বল এতিখানায় ও হাফেজিয়া মাদরাসায় দেয়া উচিত।
শীতের প্রভাব পড়েছে দিনমজুর শ্রেণির মানুষের জীবনেও। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে অনেকেই কাজে যেতে পারছেন না।কাজ করতে গেলে হাত পা ঠর ঠর করে কাঁপে। আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে তাদের দিন কাটছে অনিশ্চয়তার মধ্যে।
কুড়িগ্রামেন রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, ডিসেম্বরের শেষদিকে কুড়িগ্রাম জেলায় শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। এতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।