ঘোড়াঘাটে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

2025-12-25 18:46:22

ঘোড়াঘাট প্রতিনিধিঃ

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। এই কনকনে ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে । জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশার সাথে বইছে মৃদু বাতাস। কুয়াশায় পথ ঘাট ঢাকা পড়েছে। যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। নিম্নচাপের মতো কুয়াশা ঝিরঝির করে ঝরে পড়ছে। মৌসুমের শেষে এসে শীত চোখ রাঙাচ্ছে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সারাদিন সূর্যের মুখ দেখা পাওয়া যাইনি। রাতের তাপমাত্রা ক্রমশ হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আনুষ্ঠানিকভাবে শৈত্যপ্রবাহ শুরু না হলেও হিমেল বাতাস, ঘন কুয়াশা আর রাতভর বৃষ্টির মতো ঝরা শিশিরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে অনেকেই কাজে যেতে পারছেন না। আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে তাদের দিন কাটছে অনিশ্চয়তার মধ্যে। শীতার্তদের মধ্যে দ্রুত শীতবস্ত্র সহায়তার প্রয়োজন। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষজন। দিনের বেলায় তাপমাত্রা কিছুটা সহনীয় থাকলেও সন্ধ্যা নামতেই তীব্র শীত ও হিমেল বাতাস শুরু হয়। এর সঙ্গে ঘন কুয়াশা পড়ায় সড়ক ও  চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলার ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকান গুলোতে নিম্ন আয়ের মানুষ জনের গরম কাপড় কেনাকাটায় ভিড় লক্ষ্য করা যায়। দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্রের চাহিদা বেড়েছে। তবে পর্যাপ্ত সহায়তা এখনো অনেক জায়গায় পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ফলে শীতে জবুথুবু হয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের মানুষজন। প্রচন্ড হাড় কাঁপানো শীতে কাহিল হয়ে পরেছে নিম্ন আয়ের শ্রমিক, দিনমজুর, ছোট বাচ্চারা ও বৃদ্ধ বয়সের মানুষেরা। শীতের তীব্রতা দিনের চেয়ে রাতে সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয়। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে সর্দি, কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, সহ শীতজনিত রোগ মানুষদের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। মানুষের সাথে পশুপাখিও কষ্ট পাচ্ছে। সারাদিন সূর্যের দেখা মিলছে না, প্রকৃতিতে চলতে থাকা শীতের তীব্র দাপটে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের  মানুষের দৈনন্দিন আয় স্থবির হয়ে পরেছে। ফলে তীব্র ঠান্ডা এবং খাদ্যের অভাবে তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে। ছিন্নমূল মানুষদের জন্য সরকারীভাবে ত্রাণ বিতরণ, আশ্রয় কেন্দ্র ও গরম কাপড়ের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। পাশাপাশি সরকারি হাসপাতাল গুলোতেও শীতজনিত রোগের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। স্থানীয় কমিউনিটি এবং সমাজকর্মীরা যদি একত্রিত হয়ে ছিন্নমূল মানুষের জন্য আশ্রয়, গরম কাপড় এবং খাবার সরবরাহ করে, তবে ছিন্নমূল মানুষদের জীবনযাত্রার মান কিছুটা সহনীয় হতে পারে। অটোরিকশা চালক জাইদুল ইসলাম ও শাকিল বলেন- প্রচন্ড শীত পড়েছে। সকালে রিকশা নিয়ে বের হওয়া যাচ্ছে না। ঠান্ডায় সকাল ৯ টার পর বাড়ি থেকে বের হতে হচ্ছে। কয়েকদিন আগেও ৮০০-৯০০ টাকা আয় হতো। এখন ৩০০-৪০০ টাকা আয়  হচ্ছে। উপজেলার রামপুরা গ্রামের কৃষক সৈয়কত বলেন- বোরো আবাদের জন্য ধানের বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এভাবে শীত ও কুয়াশা চলতে থাকলে চারা পচে নষ্ট হয়ে যাবে।