গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি:
গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বড়দহ থেকে ধুন্দিয়া মধ্যপাড়া সড়ক পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার দীর্ঘ চলমান কার্পেটিং সড়ক নির্মাণ কাজে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কাজের মান নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের ২ ও ৩ নম্বর ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি কার্পেটিংয়ের থিকনেস (পুরুত্ব) ৩২ মিলিমিটার এর জায়গায় কম রাখা হয়েছে,
সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা গেছে। অনেক স্থানে এজিংয়ের পাশে প্রয়োজনীয় ফিলিং না করায় সড়কের ধার ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এছাড়া সড়কের সোল্ডার এখনো সম্পূর্ণভাবে নির্মাণ করা হয়নি। কোথাও আংশিকভাবে কাজ করা হলেও তা অনুমোদিত ড্রয়িং ও নকশা অনুযায়ী নয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। রাস্তার দুই পাশের স্লোপের কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে এবং প্যালাসেডিংয়ের কাজও শেষ করা হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সড়কের মিক্সিংয়ের কাজ চালানো হচ্ছে, যা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। সড়ক নির্মাণের মালামাল গোবর, ছাই, ময়লা ও আবর্জনার পাশে রাখা হয়েছে। এমনকি গাছের আশপাশেই মিক্সিং করায় গাছের ক্ষতি হচ্ছে। মালামালের ওপর গাছের পাতা পড়ে থাকলেও তা পরিষ্কার না করেই ব্যবহার করা হচ্ছে যা সরেজমিনে দেখা গেছে।
এসব অনিয়মের কারণে সড়কের স্থায়িত্ব ও নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর শঙ্কা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। তারা দাবি জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজের মান যাচাই করে অনিয়ম বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে গোবিন্দগঞ্জ এলজিইডির ডিউটিরত এসও’ শরিফুল ইসলাম এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।
এব্যাপারে ঠিকাদার আমিনুল ইসলামের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, যাঁরা অভিযোগ করছেন, তাদেরকে মাপতে বলেন, আমার কাজ শতভাগ হচ্ছে বলে জানান,
এছাড়া গাইবান্ধা এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী সাহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে সাংবাদিককে বক্তব্য দিতে তিনি বাধ্য নন।” এরপর তিনি ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
উল্লেখ্য যে, বর্তমানে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী ওমরায় অবস্থান করছেন, তবুও প্রকল্পটির তদারকি ও অনিয়ম প্রতিরোধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় জনগণ।