নির্মল রায়:
দারিদ্র্য ও প্রতিকূলতাকে সঙ্গী করেই বেড়ে ওঠা রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার এক রিকশাচালকের সন্তান রেহেনার অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জন করেছে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। ২০২৫ সালের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সে
ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান।
তবে আর্থিক সংকটের কারণে তার ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। বিষয়টি একাধিক গণমাধ্যমে প্রচার হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই উপজেলা প্রশাসন রেহানার পাশে দাঁড়ায়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন আক্তার
বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার হাতে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন।
এ সময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সীমিত আর্থিক সামর্থ্যের মধ্যেও রেহেনা যে সাফল্য অর্জন করেছে, তা শুধু তার পরিবারের জন্য নয়, বরং পুরো এলাকার জন্য গর্বের বিষয়। এই আর্থিক সহায়তা তার মেডিকেল শিক্ষাজীবনের প্রাথমিক ব্যয় নির্বাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।
সহায়তা গ্রহণের পর রেহেনা বলেন, উপজেলা প্রশাসনের এই সহায়তা ও অনুপ্রেরণা আমাকে আরও এগিয়ে যেতে সাহস জোগাবে। আমি একদিন একজন ভালো চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই।
উপজেলা প্রশাসনের এমন মানবিক উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করে স্থানীয়রা বলেন, দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ালে তারা আরও উৎসাহিত হবে এবং ভবিষ্যতে সমাজ ও দেশের জন্য মূল্যবান সম্পদে পরিণত হবে।
রেহেনার এই সাফল্য আবারও প্রমাণ করে দারিদ্র্য কখনোই স্বপ্নের পথে চূড়ান্ত বাধা হতে পারে না, যদি থাকে অদম্য সংকল্প, অধ্যবসায় ও দৃঢ় মনোবল।
প্রসঙ্গত,রেহানা গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের পাইকান চওড়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি রিকশাচালক মো. রশিদুল ইসলামের মেয়ে। এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় রেহানা মোট ১৮৩.৭৫ নম্বর পেয়েছেন, যার মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৮৩.৭৫।