নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় একটি বেসরকারি কওমি মাদ্রাসা দখলের হুমকি দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গঙ্গাচড়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে ৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও ৫–৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযোগকারী লবুদা বেগম (৫৬) জানান, তাঁর মেয়ে ও জামাই গঙ্গাচড়া উপজেলার নবনীদাস এলাকায় নিজেদের ক্রয়কৃত জমিতে ‘জান্নাতুল জুলফা আইডিয়াল ইসলামি একাডেমিক মাদ্রাসা’ প্রতিষ্ঠা করেন। চাকরির সুবাদে তাঁরা ঢাকায় বসবাস করায় মাদ্রাসার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন জাকেরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি।
অভিযোগে বলা হয়, স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসা পরিচালকের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। টাকা না দিলে মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া ও জমি দখল করে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।
চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় গত ৯ ডিসেম্বর মাদ্রাসায় ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সর্বশেষ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধান অভিযুক্ত রতন মিয়াসহ কয়েকজন ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাদ্রাসায় প্রবেশ করে আবারও চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মাদ্রাসা পরিচালককে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে মাদ্রাসার মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় প্রকাশ্যে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরে বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানানো হলে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসাটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তালাবদ্ধ অবস্থায় ভেতরে অবরুদ্ধ ছিলেন। পরে হাতুড়ি দিয়ে তালা ভেঙে তাঁদের বের করে আনা হয়।
এ বিষয়ে রতন মিয়ার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, “আমি সেখানে জমি পাই, সে কারণেই তালা লাগিয়েছি।”
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছবুর বলেন, লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।