গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধিঃ
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় মাদ্রাসা শিক্ষক হামিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ছাত্রকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত হওয়ায় ওই ছাত্রকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে গঙ্গাচড়া উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মৌভাষা মডেল হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। এনিয়ে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে থানায় মামলা হলে গাঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষক। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি দুলাল হোসেন।
তিনি মামলা ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, দক্ষিণ মৌভাষা মডেল হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র মাহমুদ হাসান মুরাদকে (৯) বুধবার রাতে প্রধান শিক্ষক হামিদুল ইসলাম ঘুম থেকে জাগিয়ে এক শিক্ষকের কক্ষের দরজা বন্ধ করে বেধড়ক মারপিট করেন। এতে মুরাদ জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে গেলে তাকে কক্ষের বাহিরে এনে জ্ঞান ফেরায় মাদ্রাসার অন্য ছাত্ররা। বৃহস্পতিবার আহত ছাত্র মুরাদ বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
মর্ণেয়া ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান বলেন, লেখাপড়ার জন্য নয়, এক শিক্ষকের বাসার চার্জার লাইট চুরি করেছিল বলে ছাত্র মুরাদকে মারধর করা হয়েছে। পরে আমি বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছি।
আহত ছাত্রের ভাই মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের সাথে চেয়ারম্যান কোন প্রকার যোগাযোগ করেনি। আমার ভাইকে নির্মমভাবে পেটানো হয়েছে। এতে করে সে বসতে ও চলাফেরা করতে পারছে না। আমার ভাইয়ের উপর নিমর্ম নির্যাতনের ঘটনায় আমি অপরাধীদের শাস্তির দাবী করছি। গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি দুলাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আমরা আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি।