খানসামায় আত্রাই নদীর ভাঙন;হুমকির মুখে ৪ শতাধিক পরিবার

আমাদের প্রতিদিন
2024-10-07 19:01:52

খানসামা(দিনাজপুর)প্রতিনিধি:

দিনাজপুরের খানসামার আত্রাই নদীর পানি কমতে শুরু করায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে বাড়ি ভিটা, ফসলি জমি। তীব্র এ ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিলে বিলীন হবে আলোকঝাড়ী ইউনিয়নের সরকারি গুচ্ছগ্রামের আবাসন প্রকল্প, খানসামা টিটিসি ও কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান। ভাবকী ইউনিয়নের চাকিনীয়া গ্রামের অধিকাংশ ঘরবাড়ি। খামারপাড়া ইউনিয়নের মালিজালের ঘাট ও জোয়ার গ্রামের আত্রাই নদী তীরবর্তী প্রায় ৩শ পরিবার। এ বর্ষায় নদী ভাঙনে এই তিন অঞ্চলের প্রায় ৩০০ একর আবাদি কৃষি জমি বিলীন হয়ে গেছে।

গতকাল সোমবার (২৮ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার আলোকঝাড়ী ইউনিয়নের বুদুর বাঁশেরতলে নদী ভাঙনে একের পর এক বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি। রাতের আঁধারে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে বাসিন্দাদের পৈতৃক নিবাসের শেষ স্থানটুকু। ভাবকী ইউনিয়নের পশ্চিম-দক্ষিণে অবস্থিত চাকিনীয়া গ্রাম, খামারপাড়া ইউনিয়নের জোয়ার ও মালিজালের ঘাট দাসপাড়ায় আত্রাই নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় মানুষের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র সম্বল কৃষি জমি হারিয়ে অনেকে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। এছাড়াও প্রতিদিন ভাঙ্গনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর পাশ দিয়ে চলাচলের একমাত্র সড়ক ভাঙনের মুখে।

স্থানীয়রা জানান, নদী ভাঙনে কয়েকদিন ধরে একের পর এক বসতভিটা বিলীন হচ্ছে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাড়িঘর। শুধু থাকার জায়গা নয়, ফসলি জমি, গাছপালা বিলীন হলেও কিছু যেন করার নেই নদী তীরের বাসিন্দাদের। গত তিন বছর আগে বর্ষাকালে হঠাৎ করে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে আবাদি জমির ওপর দিয়ে স্রোত যায়। এতে প্রায় আমাদের প্রায় ৩০০ একর আবাদী জমি নদীতে পরিণত হয়ে যায়। আর এ বছর ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে একেবারে বাড়ির কাছে এসে পৌছেঁছে। এমনকি নদীর পাশ দিয়ে চলাচলের একমাত্র রাস্তা যেকোন সময় ভেঙে যেতে পারে। বাড়িঘর গুলো নিয়ে হুমকির মধ্যে রয়েছে। নদী ভাঙ্গন রোধে ও বাড়িঘর রক্ষার জন্য নদীতে বাঁধ নির্মাণের জন্য ভুক্তভোগীরা প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সঞ্জয় কুমার মন্ডল বলেন, খবর পেয়ে আমি এলাকাটি ভালো ভাবে পরিদর্শন করেছি। আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করে ভাঙন রুখতে যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।