পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-সাদল্লাপুর) নির্বাচনী আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ্ব একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎকে এমপি হিসেবে দেখতে চায় তৃণমূলের জনসাধারণ। এ আসনে তৃণমূল পর্যায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনী উঠান বৈঠক ছাড়াও নানামুখী প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ অব্যাহত চালিয়ে যাচ্ছেন।
পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়ন এলাকার তৎকালীন ইউপি প্রেসিডেন্ট মরহুম আলহাজ্ব ইয়াছিন উদ্দিন চৌধুরীর নাতী এবং রেলওয়ে কর্মকর্তা মরহুম ছালামত উল্ল্যা চৌধুরী ও আমেরিকা প্রবাসী আলহাজ্ব দেলওয়ারা বেগম চৌধুরীর দম্পতির ছেলে। বর্তমানে পলাশবাড়ী পৌরশহরের নুনিয়াগাড়ীর (প্রফেসরপাড়া) বাসিন্দা। তিন ভাই-বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। বড়ভাই মতলুবর রহমান চৌধুরী ও ছোটভাই মিজানুর রহমান চৌধুরী আমেরিকা প্রবাসী। চৌধুরী পরিবারের সদস্য আলহাজ্ব একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ বিগত ১৯৯৮ ও ২০০৩ সালে কিশোরগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীতে গত ২০০৯-২০১৪ সাল পর্যন্ত এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক জীবনে জনতার কাতারে থেকে তিনি সফলভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। বর্তমানে গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদে রয়েছেন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থাকার সুবাদে এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি কিনিক, মসজিদ-মন্দির, মাদ্রাসা, ঈদগাহ মাঠ সংস্কার, উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারি ছাড়াও নিজস্ব অর্থ ব্যয়ে নানা কল্যাণমূলক কাজের বিশেষ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সংগঠনের সভাপতি ও সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও প্রতিষ্ঠাতার দায়িত্ব পালন করেছেন। উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে নিজেকে নিঃস্বার্থ ভূমিকা রাখায় বিশেষ প্রশংসা অর্জন করেন। এছাড়াও রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজারের উন্নয়ন সম্প্রসারণ কার্যক্রম ও সামাজিক সেবামূলক কাজকর্মে ছিলেন বেশী আন্তরিক।
তিনি রাজনৈতিক জীবনে অনেক সংঘাত-সংঘর্ষের মোকাবেলা করেন। অনেক হয়রানি ও হামলার শিকারও হয়েছেন। নানা প্রতিকুল পরিবেশ পেরিয়ে মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ চলমান রাজনীতিতে গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর) নির্বাচনী এলাকায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের নিমিত্তে তৃণমূল পর্যায়ে আগাম প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করা, কর্মী সমাবেশ ও সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিসহ সবসময় অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের হাট-বাজারসহ বিভিন্ন মোড়-পয়েন্ট, জনসমাগমস্থান, দোকানপাট, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ছাড়াও সর্বস্তরের জনসাধারণের সাথে কুশল বিনিময়সহ লিফলেট বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন তিনি। এসময় তিনি সরকারের বহুমুখী উন্নয়ন-সফলতার চিত্র তুলে ধরেন। চলমান উন্নয়ন এবং অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি তিনি দেশের সার্বিক সমৃদ্ধি অর্জনে ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন। তিনি বিগত ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ২০১৯ সালে জাতীয় সংসদ উপ-নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা’র কাছে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। এরই ধারাবাহিতায় তিনি আবারো দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। তাঁর অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস রাজনৈতিক পটভূমিকায় সার্বিক মূল্যায়নে মানবতার মা, বহুমুখী উন্নয়ন-উন্নতির কারিগর জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এবার অবশ্যই দলীয় মনোনয়ন দিবেন তাঁকে।