চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট বন্যায় পানিতে নিমজ্জিত হয়েছিল প্রায় ৩হাজার হেক্টর জমির রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসল।এর মধ্যে প্রায় ৫৫৭হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ধরা হয়েছে ১৭কোটি টাকা।
জানা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও প্রবল বর্ষণে কয়েক দফা ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা সুই সুই করছিল। এতে উপজেলার চরাঞ্চলসহ ৬ইউনিয়নে পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছিল ২হাজার ৮৫০হেক্টর জমির রোপা আমন ধান,বীজ তলা ৫৭হেক্টর জমি ও শাক সব্জি ৮০হেক্টর জমি মিলে মোট ২হাজার ৯৮৭ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল।কৃষি দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী পানিতে নিমজ্জিত ফসলের মধ্যে রোপা আমন ৪২০হেক্টর জমি,বীজতলা ৫৭হেক্টর জমি ও শাক-সব্জি ৮০হেক্টর জমি মিলে মোট ৫৫৭হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১৭কোটি টাকা।
উপজেলার রমনা ইউনিয়নের পানাতিপাড়া এলাকার কৃষক কলিম উ্িদ্দন,আব্দুল কাদের,সরকার পাড়া এলাকার ইছাহক আলী,হরিনের বন এলাকার আজিজুল হাকিম,পেদি খাওয়া এলাকার নওশাদ মিয়া,পাত্রখাতা এলাকার লিয়াকত আলী,থানাহাট ইউনিয়নের সবুজ পাড়া এলাকার আ.রহমান,মিজানুর রহমানসহ অনেকে জানান,প্রথম দফায় রোপা আমন ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয়বার চারা কিনে রোপন করেছিলাম সেগুলোও গত বন্যায় পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কৃষি ক্ষেত্রে এ বিশাল ক্ষতিতে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে উপজেলার সাধারন কৃষক।
উপজেলার কলেজ মোড় ্এলাকার কৃষক ফাইদুল হক জানান,তিনি ৩৬শতাংশ জমিতে রোপা আমন ধান লাগিয়েছিলেন। গেল বন্যায় তার সম্পূর্ন ধান নষ্ট হওয়ায় তিনি ১০হাজার টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার প্রণয় বিষান দাস জানান,উপজেলায় মোট ৫হাজার ৭৫০হেক্টর জমিতে রোপা আমন লাগানো হয়েছিল যার মধ্যে ২হাজার ৮৫০হেক্টর জমির রোপা আমন পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।এছাড়াও ৫৫হেক্টর জমির বীজতলা এবং ৮হেক্টর জমির বিভিন্ন প্রজাতির শাক-সব্জি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছিল। এদের মধ্যে প্রায় ৫৫৭হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে,যার আর্থিক মূল্য রোপা আমন ১৫ কোটি টাকা এবং বীজতলা ও শাকসব্জি ২ কোটি টাকা মিলে মোট ১৭ কোটি টাকা।