পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে পরকীয়ার জেরে সংসার ভাংতে বসেছে এক সন্তানে জননী সেতু বেগমের, বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার ৬নং বেতকাপা ইউনিয়নের সাকোয়া গ্রামের মাঝিপাড়ায়।
গ্রামবাসী সুত্রে প্রকাশ,ওই গ্রামের নুর আলমের স্ত্রী সেতু বেগমের সহিত প্রতিবেশী ভ্যান চালক সোনা মিয়ার ছেলে হারুন মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মোবাইল ফোনে কথাবার্তায় তাদের সম্পর্কে সূত্রপাত। সেতু বেগম জানান,পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় প্রতিবেশী হারুনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘ এক বছর প্রেমের ধারাবাহিকতায় গত সোমবার ( ৪ঠা সেপ্টেম্বর) সকালে বিয়ের কথা বলে সেতুকে বগুড়ায় নিয়ে যায় হারুন। সেখানে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত সেতুকে নিয়ে বোনের বাড়িসহ আবাসিক হোটেলে রাত্রি যাপন করেন হারুন। রোববার সকালে ছেলের সঙ্গে বিয়েতে রাজী বলে তাদের বাড়ীতে ফিরিয়ে আনে হারুনের পরিবার।
এরপর বিয়ে না দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় তিন মাস দশ তিন পর বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে সেতুকে তার বোন সাথী বেগমের জিম্মায় দেন।এদিকে,সোমার ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে গোপনে প্রেমিক হারুনকে তার পরিবার অন্যত্র বিয়ে করাচ্ছেন এমন খবর পেয়ে সেতু বিয়ের দাবি নিয়ে হারুনের বাড়ির গেটে অবস্থান নেয়। এক সন্তানের জননী সেতু বেগম আরো বলেন,তার স্বামী নুর আলম তাকে আর গ্রহণ করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। এমতবস্থায় হারুনের সঙ্গে বিয়ে না হলে আত্মহত্যা ছাড়া তার কোন উপায় থাকবে না।
এ অবস্থায় বিকেলে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা ও পলাশবাড়ী থানার সহকারি উপ পরিদর্শক (এএসআই) আঃ সবুর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি সুষ্ঠ সমাধান ও বিচারের আশ্বাস দিলে সেতু বেগম তার বোনের বাড়িতে চলে যায়। এ সময় ওই এলাকার শত শত নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান ও এএসআই সবুর জানান,বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষের মধ্যস্থতায় বিষয়টি সমাধান করা হবে । এ পর্যন্ত সেতু তার বোন সাথী বেগমের জিম্মায় থাকবে।